ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জিম্বাবুয়ে সিরিজে যে কারণে দলে জায়গা পেলেন না আশরাফুল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ১৭ ১৮:৪০:৪৫
জিম্বাবুয়ে সিরিজে যে কারণে দলে জায়গা পেলেন না আশরাফুল

আশরাফুলের এই স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবসম্মত?কে বলে ‘থার্টিন’ সব সময় ‘আনলাকি’? আজ ১৩ আগস্ট থেকেই তো আশরাফুলের ‘মুক্তি’! কিন্তু মুক্তি কি আসলেই মিলবে? অমোচনীয় দাগ কি তুলে ফেলতে পারবেন? পারবেন কি অতীত মুছে আবার জাতীয় দলে ফিরতে?আশরাফুলের জন্য আপাতত এই মুক্তি স্বস্তির। এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলেন পাঁচ বছর। ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের শাস্তিটা উঠে যাবে আজ থেকে। খুলবে জাতীয় দল ও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে খেলার দ্বার।

ঘরোয়া ক্রিকেটের দুয়ার খুলেছে দুই বছর আগেই। জাতীয় দলে খেলার আশা করার সুযোগটা যেহেতু পাচ্ছেন, তাই ইংল্যান্ডে কাল সকালটা আশরাফুলের জন্য নিশ্চিতভাবেই অন্য রকম। অনুশীলনের জন্য এখন তিনি ইংল্যান্ডে। আজ তাই অনুশীলনে ব্যাট হাতে নিয়ে আশরাফুল নিশ্চিতভাবেই দেখতে পাবেন বিশ্বকাপটা আরও কাছে!বিশ্বকাপ? হ্যাঁ, নিষেধাজ্ঞা কাটার পর ২০১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন আশরাফুল। একসময় জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হওয়া এ ব্যাটসম্যান দেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।

এরপর পাঁচটি বছর তো নিষেধাজ্ঞা কাটাতেই চলে গেল। তাঁর বয়সও বসে নেই। চৌত্রিশ টপকে পা রেখেছেন পঁয়ত্রিশে। এই বয়সে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে অনেকেরই। কিন্তু আশরাফুলের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।একে তো জড়িয়েছিলেন স্পট ফিক্সিং আর ম্যাচ পাতানোর বিতর্কে। ২০১৩ সালে প্রথম আলোর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের ভয়ংকর সব দিকের কথা।

উৎপল শুভ্রর সে প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বেরিয়ে আসে জাতীয় দলেও আশরাফুল স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তিনবার স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা আশরাফুল নিজে স্বীকার করেছিলেন সে সময়। যদিও গতকাল প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, দেশের সঙ্গে কোনো প্রতারণা করেননি । ‘কিছু অন্যায়’ করেছেন, তবে জাতীয় দলকে কখনো ইচ্ছা করে হারানোর মতো কিছু করেননি। আশরাফুলের এই বক্তব্য অবশ্য বিশ্বাস করার মতো লোক ক্রিকেট মহলে খুব বেশি নেই।

সেই চোরাগলি থেকে আশরাফুল নিজেকে শুধরে নিলেও সবার হারানো বিশ্বাসটা ফেরাতে পারবেন কি না, তা এখনই বলা কঠিন। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে একটি বলই যখন ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে সক্ষম, তখন কি দল আশরাফুলের ওপর দল আস্থা রাখতে পারবে? বিশ্বাস কি থাকবে আশরাফুল ম্যাচ জিতিয়েই ফিরবেন?আবার উল্টোটাও হতে পারে। আশরাফুল হয়তো মন থেকেই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ক্রিকেটের স্বাভাবিক কারণেই ব্যর্থ হলেন। তখন অনেকের মনে সন্দেহ জাগবে না তো!

যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে মোহাম্মদ আমিরকে যেতে হয়েছে, হয়তো হয় এখনো। কোনো নো বল করলে কারও মনে প্রশ্ন উঁকি দেয়, নো বল! আবারও!সেই বিশ্বাসের জায়গা আশরাফুল তৈরি না হয় করলেনই, তাতেও যে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হবে, তাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। জাতীয় দলে ফিরতে যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন—ফিটনেস ও পারফরম্যান্স—তার কী অবস্থা? এই পাঁচ বছরের মধ্যে জাতীয় দলও তো বেশ পরিণত। দলের ব্যাটিং অর্ডারে মোটামুটি বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই প্রতিষ্ঠিত। তাহলে আশরাফুলের ফেরার আশা বাড়বাড়ন্ত হয়ে বাস্তবে অনূদিত হবে কীভাবে?আপাতত জবাবটা খুঁজতে হচ্ছে পরিসংখ্যানের আলোয়। ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে শুরু করা যায়।

২০১৬ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরেন আশরাফুল। ঢাকা মহানগরের হয়ে ৫ ম্যাচে ২০.৫০ গড়ে করেছিলেন ১২৩ রান। সেঞ্চুরি দূরে থাক, একটি ফিফটিও নেই। বাজে খেলায় তাঁকে নির্বাচকেরা পরে রাখেননি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বিসিএলেও।তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বশেষ মৌসুমটা তাঁর জন্য জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্নজাগানিয়া মৌসুম। প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসম্পন্ন জাতীয় লিগে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। আর ‘লিস্ট এ’ তালিকাভুক্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তো রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে