ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের জন্য কতোটা ভয়ঙ্কর এই জিম্বাবুয়ে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ১৮ ২১:০৭:২২
বাংলাদেশের জন্য কতোটা ভয়ঙ্কর এই জিম্বাবুয়ে

বাংলাদেশের বিপক্ষে আরেকটি পূর্নাঙ্গ সিরিজের লড়াই শুরু করতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে দুই দল। ২১ অক্টোবর প্রথম ওয়ানডে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে এই জিম্বাবুয়ে কতোটা পরীক্ষা নিবে বাংলাদেশের?

এশিয়া কাপে পাওয়া চোটের কারণে এই সিরিজে নেই ওপেনার তামিম ইকবাল। আঙুলের পুরোনো চোটটা এশিয়া কাপে মহা আকার ধারণ করায় দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান। এই দুই তারকাকে ছাড়া খেলার চ্যালেঞ্জটা অবশ্য গ্রহণ করছে টিম বাংলাদেশ।

ওদিকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল সাকিব-তামিমকে ছাড়াও বাংলাদেশ দলকে শক্ত প্রতিপক্ষ মনে করছে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ উপহার দিতে চায় জিম্বাবুয়ে। হ্যামিল্টন মাসাকাজদা যেমন বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে অকপটেই বলেছেন তা।

কিন্ত পরিসংখ্যান বলছে জিম্বাবুয়ের করুণ চিত্রের কথা। ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পেরুতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। এরপর যে দুটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে, সেই দুটিতেই হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে। জুলাইয়ে পাকিস্তান দল জিম্বাবুয়ে সফর করে। ৫ ওয়ানডের ৫টিই জিতে নিয়ে জিম্বাবুইয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তান। বাংলাদেশে আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরে গিয়েও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে জিম্বাবুয়ে। হেরেছে টি-টুয়েন্টি সিরিজেও।

বাংলাদেশের বিপক্ষে পরিসংখ্যানেও বড্ড করুণ দশা জিম্বাবুয়ের। ওয়ানডেতে একসময় পরিসংখ্যানে রীতিমতো দুই দলের পাল্লাপাল্লি হতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে ছাড়িয়ে গেছে অনেক। দুই দল ৬৯ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যার ৪১টিতে জয় বাংলাদেশের, জিম্বাবুয়ে জিতেছে ২৮টিতে। ৯ টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয় ৫টিতে আর জিম্বুবয়ের ৪টিতে। টেস্টে যদিও এখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে। শুরুর সময়কার সাফল্যে দুই দলের ১৪ টেস্টে বাংলাদেশের ৫ জয়ের বিপরীতে ৬টিতে জয় জিম্বাবুয়ের। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়।

ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে পরিসংখ্যানের পাতা বলছে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে জিতেছে সেই ৫ বছর আগে। ২০১৩ সালে নিজেদের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশকে ২-১ এ হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর দুই দলের মুখোমুখি ১০ ওয়ানডেতে কখনোই জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরে জিম্বাবুয়ে। এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে তিন ম্যাচের সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে। এবছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের কাছে দুটি ওয়ানডেতেই হারে দলটি।

টেস্ট ক্রিকেটেও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের শেষ জয়টি ২০১৩ সালে। তবে দুই বছর আগে বাংলাদেশে চার ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ ২-২ এ ড্র করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতলেও জিম্বাবুয়ে জিতে নেয় পরের দুটি।

তারপরও সাম্প্রতিক সময়ের এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছে অনেক। তাছাড়া দুই দলের ফর্মও ফেভারিটের তকমা দিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। জিম্বাবুয়ে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গ্লানি নিয়ে এসেছে, সেখানে বাংলাদেশ সদ্যই ফিরেছে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও খেলেছে দুর্দান্ত। সবমিলে বাংলাদেশেও কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হতে পারে জিম্বাবুয়েকে।

কিন্তু বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা যে অন্য। দলের দুই প্রধান কান্ডারিকে ছাড়া খেলতে হবে। তাছাড়া পচা শামুকে পা কাটার ভয়ও তো থাকছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলে কিছু নয়, হারলে যে অনেক কিছু। বাংলাদেশকে তাই উজাড় করেই খেলতে হবে সিরিজটিতে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে