ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফিজের মহানুভবতা, বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন চামেলী

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ৩০ ০৯:৪০:০৮
মোস্তাফিজের মহানুভবতা, বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন চামেলী

চামেলীকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্ব মাতানো এই পেসার।

অসুস্থ চামেলীকে নিয়ে লেখা একটি পোস্ট ফেইসবুকে নজরে পড়ে ফিজের। তাৎক্ষনিকভাবে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চান এবং চামেলীকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানান। শুধু চামেলী নয় মোস্তাফিজ অসহায় বিভিন্ন মানুষকে নিয়মিত সাহায্য করে থাকেন।

রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ক্রিকেটার চামেলী খাতুনের নাম বললেই যে কেউ চিনিয়ে দেবে তার পৈত্রিক বাড়িটি। দুই জানালা এক দরজার জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরই এখন চামেলীর পরিবারের ঠিকানা। দেখে বোঝার উপায় নেই, ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এই চামেলী দাপটের সঙ্গে নিজের নৈপূণ্য দেখিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং প্রমীলা ক্রিকেটে।

কিন্তু সেই চামেলীই এখন জীবনের চরম দুঃসময় পার করছেন। অবশ হয়ে যাচ্ছে তার শরীরের এক অংশ। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে না পারায় বিছানায় এখন কাটছে তার দিন। জীবনের এই কঠিন সময়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে সাহায্য চেয়েছেন এক সময়ের এই দাপুটে ক্রিকেটার। আট বছর থেকে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া সহ মেরুদণ্ডে হাড়ের ব্যথা নিয়ে চলতে চলতে বর্তমানে খুব কঠিন অবস্থায় পৌছেঁছেন তিনি। মেরুদন্ডে দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্ক গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অবস হয়ে যাচ্ছে তার পুরো ডান পাশ। তাকে দেখে বোঝবার উপায় নেই, ১২ বছর পর্যন্ত এই চামেলীই দাপটের সঙ্গে নিজের নৈপূণ্যতা দেখিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং নারী ক্রিকেটে।

তার শরীরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে চামেলী বলেন, ‘আমি এখন রাজশাহীতেই আছি। প্রায় ছয় মাসের আগে ডাক্তার আমাকে অপারেশন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আর্থিক অবস্থার কারণে পারিনি। দুই মাস আগে পরপর দুইবার প্যারালাইসিস হওয়ার পথ থেকে যখন ফিরে আসি তখন ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি আমাকে ‘সরি’ বলে দিয়েছেন। তার আর কিছু করার নেই। তিনি বলেছেন আর একবার হলে আমার এক পাশ অবশ হয়ে যাবে। যদি বাঁচতে হয় আপনি তাড়াতাড়ি অপারেশন করুণ। যে কয়টা দিন বাঁচার একটু ভালো ভাবে বাঁচুন।’

চামেলী ছোট্ট একটি চাকরি করেন আনসার ভিডিপি অফিসে। অসুস্থতার কারণে সেই চাকরিও যায় যায় অবস্থা। এখন অসুস্থতা নিয়ে নিজের চিকিৎসা না করিয়ে পুরো পরিবারের ব্যয় টানছেন তিনি।মেরুদণ্ডের দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্কগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অবস হয়ে যাচ্ছে তার পুরো ডান পাশ। এই অবস্থায় দ্রুত দেশের বাইরে সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে প্রয়োজন অন্তত ১০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ সমাজের সকলের কাছে তার চিকিৎসার জন্য তিনি আজ সাহায্য চাইলে সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছেন ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে