ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির কার্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করায় যা বললেন :রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ১৯ ২৩:৩৫:৫২
বিএনপির কার্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করায় যা বললেন :রিজভী

রিজভী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপাসনের গুলশানের কার্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন সাহেব বলেছেন-বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তার এই বক্তব্যের পরপরই সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি কর্তৃক স্কাইপ বন্ধ করে দেয়াতে আবারও প্রমাণিত হলো-নির্বাচনী মাঠ আওয়ামী জোটের একচেটিয়া দখলে থাকবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন,‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নমিনেশন প্রত্যাশীদের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব এ বিষয়টি নিশ্চিত করার পর তড়িঘড়ি করে বিটিআরসিকে দিয়ে স্কাইপ বন্ধ করে দেয়া সরকারের নিম্ন রুচির পরিচায়ক। সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিজেদের অনুকূলে নেয়ার জন্য ক্লান্তিহীনভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার তৎপরতাকে বাধা দিতে সরকার সব ধরনের শক্তি প্রয়োগ করছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আওয়াজ ভেসে উঠলেই সরকার মূর্ছা যায়, আর সেজন্যই দূর থেকে ভেসে আসা শব্দকেও আটকানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। সংকীর্ণ রাজনীতির বলয় থেকে কোনোদিন বেরিয়ে আসতে পারবে না আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। ভিন্নমত, বিরোধী দল, বিরোধী কণ্ঠস্বর নীরব করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার ও সরকারপ্রধান।’

রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের নিরভিমান আনুগত্যই শেখ হাসিনার কাম্য। যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে ততদিন গণতন্ত্রের ফাঁড়া কাটবে না এবং দেশ থেকে বিপদ দূর হবে না। সরকার কর্তৃক তারেক রহমানের কণ্ঠের আওয়াজকে বাধা দেয়ার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা। আর এ জন্য স্কাইপি বন্ধ করা হয়েছে। আসলে সরকার বলপ্রয়োগ করেই ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে, জনগণের সমর্থন নিয়ে নয়। আমি সরকারের এই ন্যাক্কারজনক সংকীর্ণ মানসিকতার ধিক্কার জানাই এবং অবিলম্বে ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপি খুলে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সুত্রঃজাগোনিউজ২৪.কম

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে