ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টেস্টের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি খুশি নন পাপন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ নভেম্বর ২০ ০২:০৮:০১
টেস্টের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি খুশি নন পাপন

পাপন বলেন, ‘আমি পুরোপুরি খুশি না। কারণ প্রথম এবং এই টেস্টটি যদি আপনারা দেখেন তাহলে দেখবেন যে আমরা ওপেনিংয়ে বেশ সংগ্রাম করেছি। ঐ সময়টায় দল বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল।’

ঢাকা টেস্টে রানের দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলের বাকি সদস্যরা ব্যাট হাতে বেশ নিষ্প্রভই ছিলেন। ব্যাটিংয়ে যে সংগ্রাম করতে হয়েছে সেটি তাই ‘অধরা’ হয়ে থাকেনি বোর্ড সভাপতির কাছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে মুশফিক অসাধারণ ব্যাটিং করেছে এবং পরবর্তীতে রিয়াদও শতক হাঁকিয়েছে। তবে মিরাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দুই ইনিংসেই মিরাজ একটি ভালো ভূমিকা রেখেছে। মিথুনও দ্বিতীয় ইনিংসে রান করেছে। সবমিলিয়ে আমি বলব যে ভালো হয়েছে কিন্তু আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।’

টপ অর্ডার রান না পেলে দলের ব্যাটিং অর্ডারে চাপ পড়ে। যদিও ঢাকা টেস্টে সেই চাপ শক্ত হাতে সামলেছে মিডল অর্ডার। তবুও এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে নাজমুল হাসানের মনে। তার ভাষ্য, ‘এমন অবস্থা থাকলে টপ অর্ডাররা ব্যর্থ হয় এবং তিনটি উইকেট পড়ে গেলে দল অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে যায়। টপ অর্ডারে আমি শুধু ওপেনিংয়ের দুইজনের কথা বলছি না। আমরা এর আগের যে টেস্টটি খেলেছি সেখানে আমরা মুশফিক, রিয়াদের কাছ থেকেও রান পাইনি। এটিও আসলে অনেক শঙ্কার বিষয়।’

ইনজুরির কারণে সিরিজে দলে ছিলেন না সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এতে সব দায়িত্ব বর্তেছিল সিনিয়র দুই ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের কাঁধে। তবে এই দুজন রানে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পাপন, ‘তামিম, সাকিবের অনুপস্থিতিতে যদি মুশফিক, রিয়াদ না রান করতে পারে তাহলে তো স্কোর হবেই না তা বোঝাই যাচ্ছিল। তবে সর্বোপরি এই টেস্টে যা ভালো লেগেছে সেটি হল মুশফিক এবং রিয়াদ রানে ফিরেছে।’

শুধু সিনিয়রদের রানে ফেরাই নয়, বোর্ড সভাপতিকে স্বস্তি এনে দিচ্ছে অপেক্ষাকৃত নতুন তথা জুনিয়র ক্রিকেটারদের ভালো পারফরম্যান্স। টেস্টে সবাই ভালো করতে না পারলেও আলো ছড়িয়েছেন ওয়ানডে সিরিজে। পাপনের কথায় উঠে এল সেই পারফরম্যান্সের প্রশংসাও।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লিটন দাস অনেক ভালো করছে। সৌম্য সরকার একটি ম্যাচে এসে দারুণ খেলে গিয়েছে, ওয়ানডেতে দেখেছেন। ইমরুলও ভালো খেলছে এশিয়া কাপ থেকে। মিঠুনও ভালো করছে। টেস্টেও সে ভালো ব্যাটিং করল। মিরাজ ভালো করছে, তাইজুলও ছিল আগে থেকে টেস্টে।’

তাই তার ধারণা, দেশের পাইপলাইনেও এখন যথেষ্ট ক্রিকেটার রয়েছেন। পাপন জানান, ‘সব মিলিয়ে আপনারা যদি দেখেন যে ওদের অবদান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সঠিক সময়ে তারা অবদান রাখতে পেরেছে বলেই কিন্তু আমরা অনেকগুলো ম্যাচ জিততে পেরেছি এই ম্যাচ সহ। ওদের অবদান রাখাটা এটাই প্রমাণ করে যে আমাদের পাইপলাইনে খেলোয়াড় আছে।’

তবে সব ফরম্যাটে নতুনরা ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারায় বোর্ড সভাপতির কথায় ফুটে উঠল কপালের চিন্তার ভাঁজও, ‘এটাও দেখবেন যে টি-২০ এবং ওয়ানডেতে লিটন, ইমরুল এত সুন্দর ওপেন করার পরও টেস্টে কিন্তু তাদের একেবারেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটা তো অবশ্যই আমাদের একটি চিন্তার বিষয়। ওদেরকে আরও বেশি পরিণত হতে হবে এই টেস্ট কন্ডিশনেও। তাহলে আমি মনে করব যে দলটি একটি ব্যালেন্সড দল হয়েছে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে