ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের নিয়ে স্থানীয় জনগণ হিমশিমের মধ্যে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ আগস্ট ২৩ ১১:৪১:৪৩
রোহিঙ্গাদের নিয়ে স্থানীয় জনগণ হিমশিমের মধ্যে

এদিকে গত দুবছর আগে রোহিঙ্গাদের নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে যে সহানুভূতি-সহমর্মীতা ছিল এখন তার ছিটেফোঁটাও নেই। বরং তাদের নিয়ে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছেন তারা। রোহিঙ্গারা আদৌ মিয়ানমারে ফিরবে কিনা সেটি নিয়েও তারা এখন সন্দিহান।

সম্প্রতি উখিয়ার ঠ্যাংখালী বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফেজ এজহারুল হক বিবিসিকে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এখন পুরো এলাকার জন্য নানা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের নিয়ে আমরা স্থানীয় জনগণ হিমশিম খাচ্ছি।’

এদিকে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া বাংলাদেশি এক পরিবারের আতঙ্ক আরো বেশি। তাদের চাষের জমিজমা ক্ষেত খামারে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়ে উল্টো তাদেরই এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করে পরিবারটি। গৃহকত্রী মুরশিদা বেগম বলেন, ‘বাধ্য হয়ে আর্মি ডেকে রোহিঙ্গাদের শাসাতে হয়েছে। তার সন্দেহ এই রোহিঙ্গারা আর ফেরত যাবে না।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘এরা (রোহিঙ্গারা) আসলে যাবে না। এমন সহযোগিতা পেলে কেউ যায়! আমাদের তারা বলে এ জমি হাসিনা তুর্কির কাছে বেঁচে দিছে। এটা আমাদের জায়গা। তোমরা চলে যাও।’

এদিকে উখিয়া ও টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮হাজার ৫৭৬ জন। যার মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরই এসেছে ৭লাখ ৪১হাজার ৮শ ৪১ জন। এই জনসংখ্যা পুরো কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের চেয়েও অনেক বেশি।

আর দুবছর ধরে অস্থায়ী ক্যাম্পে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে বসবাস করলেও নিজদেশে ফেরার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না রোহিঙ্গারা।

তাছাড়া তারা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, নাগরিকত্ব ও রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি, নিজস্ব ঘরবাড়ী সম্পত্তি ফেরত, নিরাপত্তা এবং নির্যাতনের বিচারের দাবি পূরণ না হলে দেশে ফিরে যাবেন না।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে