মুশফিক মুমিনুলের কারনে জয় হাত ছাড়া হতে পারে বাংলাদেশের

আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সেসব প্রশ্নও কিন্তু উঠে আসছে। এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, শুরুর দিন প্রথম সেশনে ওভার পিছু রান তোলার গতি ছিল চারের ওপরে। তারপর সময়ের সাথে সাথে বিশেষ করে তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর রান তোলার সে গতি কমেছে।
তারপরও প্রথম দিন ওভারপিছু সাড়ে তিন রান করে তুলেছে মুমিনুলের দল। তবে পরের দুইদিন সে গতি ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। সময়ের প্রবাহতায় তা কমতে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত মুমিুল বাহিনী ৫৩১ রান করতে খেলেছে ১৭৩ ওভার।
প্রশ্ন আসতে পারে, টেস্টে আবার রান তোলার গতির প্রশ্ন আসছে কেন? কেউ কেউ হয়তো এটাকে অমূলক আলোচনাও ভাবতে পারেন। নাহ, বিষয়টা একদম অমূলক নয়। রান তোলার গতি আরও দ্রুত থাকলে কাল (বৃহস্পতিবার) শেষ ঘন্টায়ই লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে নামানো সম্ভব ছিল। তাতে করে হাতে সময় বেশি পাওয়া যেতো। লঙ্কানদের ফলোঅন এড়ানোর চাপের পাশাপাশি প্রায় তিনদিন উইকেটে কাটানোর বাড়তি চাপও দেয়া যেতো।
কেউ কেউ মনে করেন, দ্বিতীয় দিন আর আজ সকালের সেশনেও লঙ্কান বোলাররা বেশ টাইট বোলিং করেছেন। আর তাতেই মুমিনুল, শান্ত, মুশফিকদের পক্ষে দ্রুতগতিতে রান তোলা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার ক্যান্ডি টেস্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় দলের সাবেক কোচ সারোয়ার ইমরানও সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন।
ইমরান বলেন, ‘আমার মনে হয় গতকাল লাঞ্চের পর থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একটু বেশি ডিফেন্সিভ হয়ে পড়েছে। লঙ্কানরাও টাইট বোলিং করেছে। তারাও ব্যাটসম্যানকে ফ্রি খেলতে দেয়নি। আলগা বল কম ছিল। অফস্ট্যাম্পের বাইরে জায়গাও দিয়েছে কম।’
তারপরও কোচ ইমরানের ধারণা, দ্বিতীয় দিনই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আরও হাত খুলে খেলার চেষ্টা করা দরকার ছিল। ইমরানের কথা, ‘আমরা সম্ভবত সাড়ে পাঁচশ’কে টার্গেট ধরে রেখেছিলাম। সেটা কাল লাঞ্চের পর চালিয়ে খেললেই হয়ে যেতো। কাল যদিও প্রায় ২৬ ওভার খেলা হয়নি, তার আগেই এক সেশন আমরা বেশি স্লো খেলেছি। ঐ এক সেশনে রান তোলার গতি দুইয়ের নিচে নেমে গিয়েছিল। আর তাতেই সাড়ে পাঁচশোর কাছে যেতে আজ প্রায় দেড় ঘন্টা বেশি সময় ব্যাট করতে হয়েছে।’
ইমরানের ধারণা, কাল পড়ন্ত বিকেলে ৫০০ রান করেও লঙ্কানদের যদি দিনের শেষ ৩০ মিনিট ব্যাটিং করানো যেতো, তখন বাংলাদেশের জন্য হিসেবটা সহজ হতো। হাতে সময় বেশি পাওয়া যেতো।
কোচ ইমরান অবশ্য কারো নাম উল্লেখ করেননি। তবে মুশফিকুর রহীমের ব্যাটিংয়ের ধরনের বিশেষ করে অতি রক্ষনাত্মক মনোভাবের সমালোচনা অনেকের মুখে। তাদের কথা, ওপরের দিকে তামিম প্রায় ৯০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্তও প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি ছিলেন স্ট্রাইকরেটে। কিন্তু অধিনায়ক মুমিনুল হক আর পরে মুশফিকুর রহীম অনেক বেশি স্লথ ব্যাটিং করেছেন। তাতেই রানের গতি গেছে কমে।
এখন যে রান, হয়তো গতকাল দ্বিতীয় দিনে শেষ ঘন্টায় গিয়েই তোলা যেতো, অথচ তৃতীয় দিন প্রথম সেশনও খেলতে হয়েছে প্রায়। তাতেই একটি সেশন গেছে হাতছাড়া হয়ে। বিশেষ করে আজ সকালের সেশনে মুশফিকের অতিরক্ষণাত্মক ব্যাটিং জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। তবে কি জয়ের জন্য নয়, ড্রয়ের জন্য খেলছে বাংলাদেশ!
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত