বেরিয়ে এলো আসল খবরঃ হাথুরুর দুর্বলতায় ছুটি পেয়েছিল সাকিব

মাঠে সাকিবের পারফরম্যান্স থাকলেও মাঠের বাইরে তাকে ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনা ঘুরছে। কেন হঠাৎ সাকিব আল হাসানকে ছেড়ে দিল টিম ম্যানেজমেন্ট?এটাও বিতর্কে নতুন চর্বি যোগ করল।

ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ দলে এত বড় কোচিং কমিটি থাকা অবস্থায় সাকিব ঢাকায় তার ছোটবেলার কোচ নাজম আবিদীন ফাহিমের কাছে ছুটে যান সেই খরা ভাঙতে। আর সাকিবকে কেন ছুটি দিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে? এ নিয়ে বিব্রত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পুরো দুই দিন প্রশিক্ষণ শেষে সাকিব কলকাতায় যাবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বাঘের ছেলে সাকিব আর তা করেন না। দুই সেশন কোচের সঙ্গে কাজ করার পর বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কলকাতায় যান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মিরপুরের ইনডোরেও ঘণ্টা তিনেক ব্যাটিং অনুশীলন করেন সাকিব। সকাল ৯টা ৭ মিনিটে মিরপুর শেরে-ই বাংলার ইনডোর স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। এরপর অনুশীলন শেষে দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে মিরপুর ত্যাগ করেন।

বৃহস্পতিবার সেখানে গেলেও অনুশীলন করেননি সাকিব। এদিন অনুশীলনে তাসকিন ঘাম ঝরালেও মাঠে আসেননি হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিবরা।

সাকিবের ফেরা প্রসঙ্গে মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম বলেন, তার ছুটি ছিল দুদিনের। শেষ হওয়ায় চলে এসেছেন।

জানা গেছে, সাকিবের মূল সমস্যা ব্যাটিংয়ে। জেমি সিডন্স চলে যাওয়ার পর থেকে টাইগার শিবিরে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ। ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে আছেন সহকারী কোচ নিক পোথাস এবং প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে।

অন্যদিকে দলের সঙ্গে আরও আছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। এতো বড় কোচিং প্যানেল থাকতেও মিরপুরে ছোটবেলার গুরুর কাছে সাকিব যাওয়ায় বিব্রত বিসিবি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির এক পরিচালক দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমে বলেন, আমরাও কোচের কাছে জানতে চেয়েছি, সাকিব কীভাবে ছুটি পেল। কোচের কাছে সে বলে গেছে ব্যক্তিগত কারণে যাচ্ছে।

এদিকে বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত নিজেদের খেলা পাঁচ ম্যাচে খুব একটা সাফল্যের দ্যুতি ছড়াতে পারেননি সাকিব। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ১৪ গড়ে মাত্র ৪৫ রান করেছেন সাকিব। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন তিনি। অন্যদিকে বল হাতে ওভার প্রতি ৫ দশমিক ৫৪ গড়ে সাকিবের শিকার মোটের ওপর ৬ উইকেট। এর মধ্যে আফগানদের বিপক্ষে ৩০ রান খরচায় ৩ উইকেট তার সেরা পারফরম্যান্স। এ ছাড়া চোটের কারণে খেলেনি ভারতের বিপক্ষে।