সারা দেশে উঠলো ব্যাপক আলোচনার ঝড়: ‘রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে করা নাহিদ ইসলামের পোস্ট ভাইরাল

নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সারা দেশে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে, যেখানে তিনি একটি পুরোনো স্লোগানকে পুনরায় তুলে ধরেছেন এবং এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পোস্টটি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে।
নাহিদ ইসলাম, যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন, একটি স্লোগান নিয়ে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন যে, "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার" স্লোগানটি দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই স্লোগানটি দুই মাস আগে ঘটে যাওয়া একটি বড় ছাত্র আন্দোলনের সময় উঠে আসে, যখন ছাত্ররা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামে।
আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাজাকার স্লোগান নামে একটি পোস্ট দেন নাহিদ ইসলাম।
যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘তুমি কে? আমি কে?, রাজাকার রাজাকার’ এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সাহসী স্লোগান ছিল। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে বিভাজনের রাজনীতি ছিল তা এই স্লোগানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছিলে সেই রাতে। আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ সেই রাতেই ভেঙে গেছিল। অস্ত্র ও বুলেটের মাধ্যমে আরও কয়েকটা দিন টিকে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা ছিল কেবল।
নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ইতিহাসতো একরোখা কোনো বিষয় না। ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’ ; ‘আমি নই, তুমি নই; রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানও সেই রাতে বহুবার দেওয়া হইছে। আন্দোলনে বহুস্রোত ও কন্ঠস্বর এসে মিলেছে। সবাই সবসময় এক বক্তব্য ধারণ করেছে এরকম নয়। বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ীও বক্তব্য-কর্মকৌশল বদল হইছে বহুবার। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ স্লোগানও হইছে। স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষেও বহু গুণগান গাওয়া হইছে একসময়। ১৮ সালেও হাসিনা ও মুজিবের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন হইছে। পরে বুকে রাজাকার লিখে সেই আন্দোলন গতি পাইছে। একটা আন্দোলনে অনেক ডাইমেনশন থাকে এবং বহু পরস্পর বিরোধী ঘটনাও একসাথে ঘটতে পারে। এই সামগ্রিকতাকে ধারণ করেই প্রকৃত ইতিহাস রচিত হয়।
আরও লিখেছেন, ‘রাজাকার ইস্যুটিকে পরিকল্পিতভাবে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করার প্রস্তুতি নেওয়া হইছিল। এবং তার ফলশ্রুতিতেই পরদিন মিছিলে হামলা করা হয়। আর এ আন্দোলনে যেহেতু নারী শিক্ষার্থীরা ছিল মূল শক্তি তাই মেয়েদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়। তারপরের ঘটনা সকলেই জানেন। ফ্যাসিস্টদের শেষ রক্ষা হয়নি।’
১৫ তারিখ সকালে রাজাকার স্লোগান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমাকে অনেক মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমার ব্যাখ্যাটা ছিল এরকম- এই আন্দোলনে রাজাকার শব্দের কোনো প্রাসঙ্গিকতা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নিজে রাজাকার ইস্যু তুলে ছাত্র ও তাদের পরিবারকে রাজাকার বলে অপমান করেছেন। জবাবে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর নিজেকে 'রাজাকার' আখ্যা দিয়ে বক্তব্যকে ব্যঙ্গ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ট্যাগ দিয়ে এ আন্দোলন দমন করা যাবে না। মূলত আন্দোলন দমন করতেই রাজাকার ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছে। শেখ হাসিনার উচিত এই বক্তব্য প্রত্যাহার করা।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে