হোয়াটসঅ্যাপে ‘চ্যানেল’ ফিচারের মাধ্যমে উপার্জনের ৫টি উপায়

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ‘চ্যানেল’ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে সারা বিশ্বে। কিছু মাস আগেই ‘মেটা’ কোম্পানি হোয়াটসঅ্যাপে ‘চ্যানেল’ নামে একটি ফিচার চালু করেছে, যা ব্যবহারকারীদের একমুখী বার্তা সম্প্রচারের সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশসহ ১৫০টি দেশে ফিচারটি চালু হয়েছে, যা অনেকেই কেবল যোগাযোগ নয়, আয়ের সুযোগ হিসেবেও ব্যবহার করছেন।
চ্যানেল ব্যবহার করে সহজেই নিজের অনুসারী বা গ্রাহকদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে, পাশাপাশি রয়েছে আয়ের কিছু অভিনব উপায়ও।
১. পণ্য ও পরিষেবা বিক্রির সুযোগ
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সরাসরি তাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলি প্রমোট করতে পারবেন। বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন ই-বুক, অনলাইন কোর্স, বা গ্রাফিক্স টেমপ্লেট বিক্রি করা সম্ভব এই ফিচারের মাধ্যমে। যাদের নিজের ব্যবসা নেই, তারাও বিভিন্ন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
২. ক্যাটালগ ব্যবহারের মাধ্যমে আয়
ছোট বা মাঝারি ব্যবসায়ীরা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের ক্যাটালগ ফিচারটি ব্যবহার করে তাদের পণ্যের ক্যাটালগ গ্রাহকদের দেখাতে পারেন। চ্যাটের মাধ্যমে গ্রাহকের অর্ডার গ্রহণ ও পেমেন্টের সুবিধাও আছে। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর একটি নতুন সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুযোগ
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে লিঙ্ক শেয়ার করে সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। চ্যানেল ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা পরিষেবার লিঙ্ক তাদের সাবস্ক্রাইবারদের শেয়ার করতে পারেন, যা থেকে কমিশন উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। এই ফিচারটি বর্তমান অনলাইন মার্কেটিং ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যবহারকারীদের আয়ের একটি নতুন দিক উন্মোচন করছে।
৪. দক্ষতার ভিত্তিতে ওয়ার্কশপ আয়োজন
রান্না, ডিজাইন, বা ফটোগ্রাফি নিয়ে দক্ষ যারা, তারা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে পারেন। এ ধরনের ওয়ার্কশপ থেকে আয়ের সুযোগ রয়েছে। ভিডিও এবং অডিও কলের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানও সম্ভব, যা কোচিং বা নির্দেশনার কাজেও সাহায্য করতে পারে।
৫. ফ্রিল্যান্স পরিষেবা সরবরাহ
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ক্ষেত্র। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা সহজেই প্রদর্শন করতে পারবেন এবং ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সেবা নিয়ে সরাসরি উপার্জন করতে পারবেন। লেখালিখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা প্রোগ্রামিংয়ের মতো সেবা প্রদান করে ফলোয়ারদের থেকে আয় করার সুবিধা পাবেন।
কিভাবে তৈরি করবেন চ্যানেল?
চ্যানেল তৈরি করতে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে আপডেট ট্যাবের + আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ‘নিউ চ্যানেল’ অপশনে গিয়ে গেট স্টার্টেড এড ক্লিক করতে হবে এবং স্ক্রিনে দেওয়া নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করে চ্যানেলের নাম দিয়ে এটি কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের মতে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ফিচারটি শুধুমাত্র যোগাযোগ নয় বরং আয়ের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবেও কাজ করবে। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং ডেস্কটপের সর্বশেষ ভার্সনে এই ফিচারটি ব্যবহার করা যাচ্ছে, তবে পুরোপুরি উন্মুক্ত হতে কিছু সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে মেটা।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে