ব্রেকিং নিউজ: আওয়ামী লীগের ঈদের খুশি

সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারপোল এবং বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের নাম নিয়ে একটি বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে। এই দাবির সত্যতা এবং ইন্টারপোলের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
ইন্টারপোলের পূর্ণ নাম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন। এটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে অপরাধীদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারে সহযোগিতা করার জন্য কাজ করে। তবে, ইন্টারপোল রাজনৈতিক বন্দিদের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক এবং সরাসরি কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে জড়িত হয় না।
সম্প্রতি ইন্টারপোল সারা বিশ্ব থেকে ৬,৬৫৮ জন অপরাধীর একটি লাল তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি ৬৩ জনের নাম রয়েছে। এই তালিকায় যৌন নির্যাতন, খুন, এবং অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের নাম উঠে এসেছে।
বিশেষত:
জাহিদুল ইসলাম (অস্ত্র মামলায়)
ফজলুল বিন জাবেদ (যুক্তরাষ্ট্রে খুনের অভিযোগে)
লক্ষ্মীপুরের খোসাদ আলম (বেলজিয়ামে খুনের অভিযোগে)
মোহাম্মদ মিলন ও লিটন ব্যাপারী (ইস্তাওয়ানিতে খুনের অভিযোগে)
নোয়াখালীর মিজান (দক্ষিণ আফ্রিকায় খুনের অভিযোগে)
তবে তালিকায় উল্লেখযোগ্যভাবে কোনো রাজনৈতিক মামলার আসামি বা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর নাম পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম এবং একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দাবি করেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতে এ নিয়ে অভিযোগ পাঠানোর কথাও শোনা যায়। পরে এই দাবি ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে সরাসরি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নাম কোনো লাল তালিকায় নেই। অর্থাৎ এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
দাবি করা হয়, ভারত কূটনৈতিক চিঠির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সহযোগিতা করবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বর্তমান মনোভাব বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মনে করার কারণে এই ধরনের সহযোগিতা বাস্তবসম্মত নয়।
রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনা বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক আইন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশি অপরাধীদের ধরতে সফল হলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইন্টারপোলকে ব্যবহার করা কঠিন।
ইন্টারপোলের তালিকায় শেখ হাসিনার নাম থাকার দাবিটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। তালিকায় থাকা ৬৩ জন বাংলাদেশির নাম শুধুমাত্র অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। এই বিতর্ক কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানোর একটি উদাহরণ।
সতর্কতা: বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে বিরত থাকুন এবং তথ্য যাচাই করে মতামত প্রকাশ করুন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে