বাংলাদেশিদের র ক্তে লা ল বিএসএফ’র হাত

বিশ্বের অনেক সীমান্তে যুদ্ধ বা সংঘর্ষের কারণে সহিংসতা দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা ঘটে তথাকথিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আড়ালেই। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিএসএফ-এর গুলিতে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, যা মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
কেন এই সহিংসতা?
- চোরাচালান ও পাচারের অজুহাত: সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধের নামে বিএসএফ প্রায়ই বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানায়। অথচ এটি বন্ধ করার জন্য হত্যার পরিবর্তে আটক বা বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা সম্ভব ছিল।
- অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ: সীমান্তরক্ষীদের পক্ষ থেকে প্রায়শই "শুট অ্যাট সাইট" নীতি প্রয়োগ করা হয়, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘন করে।
- দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অভাব: ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি থাকলেও বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তরিক উদ্যোগ দেখা যায় না।
মর্মান্তিক উদাহরণ
২০১১ সালে ফেলানি খাতুনের হত্যাকাণ্ড সীমান্ত হত্যার নিষ্ঠুরতাকে প্রকাশ্যে তুলে আনে। সীমান্ত তারে ঝুলে থাকা ফেলানির মরদেহ কেবল তার পরিবার নয়, পুরো বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছিল। এরপরও বিএসএফ-এর নীতি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে খুব বেশি কিছু বদলায়নি।
সীমান্তে কেন ভিন্ন আচরণ?
ভারতের নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সীমান্তেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটে, তবে সেসব ক্ষেত্রে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় না। এমনকি চীনের সঙ্গেও তাদের সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাহলে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি এই নিষ্ঠুর আচরণ কেন? এটি শুধুই চোরাচালানের অজুহাত, নাকি এর পেছনে ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক বা নীতিগত কারণ রয়েছে?
সমাধানের প্রয়োজনীয়তা
- সীমান্ত ব্যবস্থাপনা মানবিক হওয়া: সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মারণাস্ত্রের ব্যবহার না করে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল প্রয়োগ করা উচিত।
- কূটনৈতিক চাপ: বাংলাদেশকে ভারতের ওপর কূটনৈতিকভাবে আরও জোরালো অবস্থান নিতে হবে। সীমান্ত হত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা জরুরি।
- দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ: দুই দেশের সরকারের মধ্যে সীমান্ত হত্যার বিষয় নিয়ে নিয়মিত আলোচনা এবং কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
- আইনগত পদক্ষেপ: সীমান্তে অপরাধের ক্ষেত্রে আটককৃতদের যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া উচিত।
ভবিষ্যৎ পথ
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করেছে, তবে সীমান্ত হত্যার মতো বিষয়গুলো এই বন্ধুত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দুই দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সীমান্তে বুলেটের বদলে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর সময় এসেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- বাংলাদেশে১৮, ২১ ও২২ ক্যারেট সোনার আজকের বাজার মূল্য
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- জ্বালানি তেলে সুখবর: মে মাসে কমলো ডিজেল ও পেট্রোলের দাম
- বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম ও রুপার বাজার মূল্য
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- ৪১ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির তালিকা
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- আরব আমিরাতে ২০২৫ ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?