ভারত বাংলাদেশের সহায়তা ছাড়া চলতে পারবে না

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারত কেউই একে অপরের সহায়তা ছাড়া চলতে পারবে না।
শনিবার আগরতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সংযোগ প্রকল্পগুলোর কাজ অনেকাংশে সম্পন্ন হয়েছে বা প্রায় শেষের পথে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অচল হয়ে থাকা প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।
মানিক সাহা জানান, ইতোমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা হয়েছে এবং মৈত্রী সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগও স্থাপিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু চ্যালেঞ্জের কারণে এগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, "বাংলাদেশেও কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে, তবে আমি নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং আন্তর্জাতিক রেল সংযোগ কার্যকর হবে। কারণ, বাংলাদেশও ভারতের সহায়তা ছাড়া চলতে পারে না।"
গত বছরের ডিসেম্বরে মানিক সাহা জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ স্থাপনের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও নানা কারণে সেগুলোর বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু, যা ২০২১ সালে উদ্বোধন করা হলেও এখনো ব্যবহারের সুযোগ পায়নি। একইভাবে ফেনী সেতু, সাবরুম ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট ও আন্তর্জাতিক জলপথ পরিবহন প্রকল্পও অচলাবস্থায় রয়েছে।
দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বিজেপির বিজয়কে স্বাভাবিক উল্লেখ করে দিল্লির জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের মানুষ উন্নয়ন দেখেছে। দরিদ্রদের জন্য তাঁর কাজের কারণে জনগণ বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছে।" পাশাপাশি, আম আদমি পার্টিকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, "দিল্লির জনগণ অবশেষে সত্য বুঝতে পেরেছে।"
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবও নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "দিল্লি অবশেষে কেজরিওয়ালের মতো প্রতারক ও মিথ্যাবাদী নেতার হাত থেকে মুক্তি পেল। মোদিজির নেতৃত্বে রাজধানীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।"
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক শুধুমাত্র কূটনৈতিক নয়, বরং পারস্পরিক নির্ভরশীলতার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান সংযোগ প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা শুরু হলে উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে