রমজান মাস শুরুর আগে যেসব প্রস্তুতি থাকা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রত্যেক মুসলিমের জন্য রমজান মাস শুধু একটি উপবাসের মাস নয়, বরং আত্মবিশ্লেষণ, ইবাদত, ও আল্লাহর নিকট যাওয়ার এক বিশেষ সুযোগ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) রোজা শুরুর আগেই যেমন প্রস্তুতি নিতেন, তেমনি আমাদেরও এই পবিত্র মাসের আগেই প্রস্তুত হওয়া উচিত। একবার যদি আমরা সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি, তবে রমজান মাসে সেরা ইবাদত করতে সক্ষম হবো।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি তুলে ধরা হলো, যেগুলি রমজান মাসের আগে আমাদের নেওয়া উচিত:
১. গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগে সেরে ফেলুন:
রমজানের সময় আপনার ব্যস্ততা যাতে কম হয়, সে জন্য বিশেষ কোনও কাজ বা সফর থাকলে তা আগে সেরে ফেলুন। এতে রোজার মাসে আপনার সময় কেবল ইবাদত এবং আত্মশুদ্ধির জন্য ব্যয় করা সহজ হবে।
২. রোজার জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা:
রমজান মাসে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা আগে শেষ করে ফেলুন। এতে রোজা শুরুর পর কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন না এবং রোজা রাখতে মনোযোগ দিতে পারবেন।
৩. শক্তিশালী পরিকল্পনা তৈরি করুন:
রমজান মাসে কীভাবে সময় কাটাবেন এবং কীভাবে নিজের ইবাদতকে উন্নত করবেন, সে বিষয়ে দৃঢ় পরিকল্পনা তৈরি করুন। এক্ষেত্রে আপনি নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারেন:
কোরআন তেলাওয়াত: প্রতিদিন কতটুকু কোরআন তেলাওয়াত করবেন, তা নির্ধারণ করুন। এটা আপনার আত্মশুদ্ধির পদ্ধতির অংশ হবে।
কোরআন অধ্যয়ন: কোরআন শুধু তেলাওয়াত নয়, এর অর্থ বুঝে ও চিন্তা করে পড়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাসে এর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিন।
সহিহ তেলাওয়াত শিক্ষা: রমজানে যেহেতু কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব বেড়ে যায়, তাই এর সহিহতা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণ নিন।
ইসলামী সাহিত্য সংগ্রহ: ইসলামিক বই ও তাফসির সংগ্রহ করুন, বিশেষ করে রমজান মাসে বিভিন্ন প্রকাশনী যে ছাড় দেয়, সেগুলি কাজে লাগান। আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবারে দ্বীনের সৌরভ ছড়িয়ে পড়বে।
৪. নফল ইবাদত:
রমজান মাসে সওয়াবের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে সেহরির সময় তাহাজ্জুদ নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আপনি আরও বেশি সওয়াব অর্জন করতে পারবেন। নিজেকে আরো এককঠোরভাবে ইবাদত ও দোয়ায় ব্যস্ত রাখুন।
৫. ইতেকাফের প্রস্তুতি:
রমজান মাসের শেষ দশ দিন বিশেষভাবে ইতেকাফের জন্য নির্ধারণ করতে পারেন। ইতেকাফ হলো একাকী ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করা।
৬. পারিবারিক দ্বীনি শিক্ষা:
আপনার পরিবারের সদস্যদেরও রমজান মাসে দ্বীনের পথে এগিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নিন। বিশেষভাবে সন্তানদের ইসলামিক শিক্ষায় মনোযোগী করুন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও প্রশিক্ষণ ছড়িয়ে দিন।
৭. রমজানের পবিত্রতা রক্ষা:
রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার জন্য নিজেদের পাশাপাশি পরিবার এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা গ্রহণ করুন। কেউ যাতে রোজা ভঙ্গ না করে, সে বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং সকলকে রোজার প্রতি উদ্বুদ্ধ করুন।
৮. আল্লাহর সাহায্য কামনা:
সবশেষে, আপনার প্রস্তুতি সফল হতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন। রমজান মাসে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে, আল্লাহর সাহায্য প্রয়োজন। আমাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে আল্লাহ আমাদের সহায়তা করবেন।
রমজান মাস আমাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ, যা আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ সুগম করে। যদি আমরা এই প্রস্তুতিগুলি সঠিকভাবে গ্রহণ করি, তাহলে রমজান আমাদের জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
ফাহিম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে