গাজার কান্না ও কোরআনের বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজায় ইসরাইলি হামলার বিভীষিকাময় দৃশ্য গোটা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলমানকে কাঁদিয়ে তুলেছে। শিশু, নারীসহ অসংখ্য নিরীহ গাজাবাসীর ওপর দিনের পর দিন চালানো হচ্ছে হত্যাযজ্ঞ। মুসল্লিরা এই নৃশংসতা আর অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছেন, যেন তিনি জালিমদের কঠিন শাস্তি দেন।
বিশ্বের নানা প্রান্তে মুসল্লিরা গাজার জন্য কাঁদছেন, দোয়া করছেন এবং ইসরাইলের উপর আল্লাহর গজব কামনা করছেন। তারা মনে করছেন, যুগে যুগে আল্লাহর নাফরমানি, নবীদের হত্যা এবং দুনিয়াজুড়ে ফিতনা-ফাসাদ ছড়ানোয় বনী ইসরাইল বারবার লাঞ্ছিত, অপমানিত ও বিতাড়িত হয়েছে। পবিত্র কোরআনে তাদের এমন পরিণতির পূর্বাভাসও স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে।
সুরা বনি ইসরাইলের আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন—
“আমি বনী ইসরাইলকে কিতাবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, তোমরা পৃথিবীতে দু’বার বিশাল ফিতনা সৃষ্টি করবে এবং মারাত্মক অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে। অতঃপর যখন প্রথমবারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় আসবে, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কঠোর ও শক্তিশালী বান্দাদেরকে প্রেরণ করব, তারা তোমাদের জনপদের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে। এটা ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়াদা। এরপর আমি তোমাদের জন্য পালা ঘুরিয়ে দিলাম, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির মাধ্যমে সাহায্য করলাম, এবং তোমাদের সংখ্যাগতভাবে একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিণত করলাম। যদি তোমরা ভালো করো, তা নিজেদের জন্যই ভালো; আর যদি মন্দ করো, তা নিজেদেরই বিপর্যয় ডেকে আনবে। অতঃপর দ্বিতীয়বারের সেই সময় এলে, আমি আবারও তাদের পাঠাব যারা তোমাদের মুখমণ্ডল বিকৃত করবে এবং মসজিদে প্রবেশ করবে, যেমন প্রথমবার প্রবেশ করেছিল; এবং তারা যেখানে জিতবে, সেখানে সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। যদি তোমাদের পালনকর্তা চান, তবে তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। তবে যদি তোমরা পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হও, আমি আবারও পূর্বের মতো শাস্তি দিব। নিশ্চয়ই আমি জাহান্নামকে কাফেরদের জন্য একটি কয়েদখানা বানিয়েছি।”(সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৪-৮)
এই আয়াতকে ভিত্তি করে অনেক মুফাসসির ও ইসলামী চিন্তাবিদ মনে করছেন, বর্তমান ইসরাইলের দম্ভ, দমন-পীড়ন এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধই হতে পারে বনী ইসরাইলের উপর দ্বিতীয় বিপর্যয়ের সূচনা।
গাজার আকাশে বারুদের গন্ধ, রক্তে ভেজা শিশুদের আর্তনাদ—সবই যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হওয়ার পথে। মুসলমানরা আজ একজোট হয়ে কেবল প্রতিবাদেই নয়, বরং দোয়া, কান্না ও আল্লাহর নিকট অবিচারের প্রতিকার চেয়ে গর্জে উঠেছেন।
বিশ্ব আজ অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে। গাজায় শান্তি ফিরুক—এটাই এখন কোটি কোটি মুসলমানের প্রার্থনা।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত