
MD. Razib Ali
Senior Reporter
কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম (৭৪) গত ৯ এপ্রিল রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন রিয়াজুল ইসলাম, কিন্তু তার মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও কারাগারের অবহেলা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
গ্রেপ্তারের পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতি
রিয়াজুল ইসলাম ৩০ মার্চ ঈদের আগের দিন শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা বিরোধ ছিল না, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার পরিবারের দাবি, পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তিনি অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে পুলিশ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানোর সময়ও তার শারীরিক অবস্থার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ: চিকিৎসা না দেওয়ার অবহেলা
৪ এপ্রিল রিয়াজুল ইসলামের পরিবারকে জানানো হয়, তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং স্ট্রোক করেছেন। তবে, এই তথ্য কারা কর্তৃপক্ষ তাদের তিন দিন পরে জানায়। তার পরিবার দাবি করেছে, কারাগারে তার অসুস্থতার কথা জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের সে আবেদনও উপেক্ষিত হয়।
সিলেট মেডিকেলে অস্ত্রোপচার, কিন্তু উন্নতি হয়নি
রিয়াজুল ইসলামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে তার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধায় অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটেনি এবং ৯ এপ্রিল রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্থানীয় জনগণের শোক
রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যুতে পুরো শান্তিগঞ্জ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং রাজনীতিতে তার অবদান ছিল অমূল্য। তার মৃত্যুর পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সমর্থকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পরিবার দাবি করছে ন্যায়বিচারের
রিয়াজুল ইসলামের ভাতিজা আবু বক্কর বলেন, "আমরা বারবার বলেছি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে, কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনেনি। একজন অসুস্থ মানুষকে এভাবে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হলো।" তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই, তার মৃত্যুর ঘটনায় যারা অবহেলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক।"
প্রশাসনের বক্তব্য
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, "রিয়াজুল ইসলাম বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। এর বাইরে আমাদের কিছু জানা নেই।"
রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যু শুধু তার পরিবারকেই নয়, পুরো এলাকাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। তিনি ছিলেন একজন জনদরদি নেতা, যিনি জনগণের সেবা করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। আজ তার অকাল মৃত্যু শুধু তার পরিবারকেই নয়, এলাকাবাসীকেও শোকসন্তপ্ত করেছে।
এখন, তার পরিবার একটাই দাবি—ন্যায়বিচারের জন্য যেন কর্তৃপক্ষ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে আর কোনো অসুস্থ মানুষকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত