
MD. Razib Ali
Senior Reporter
বিনিয়োগকারীদের বাঁচাও: ধারাবাহিক ধসের মুখে দেশের শেয়ার বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময় লাখো মানুষের স্বপ্ন পূরণের স্থান ছিল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। কিন্তু বর্তমানে তা হয়ে উঠেছে হতাশা আর ক্ষতির প্রতীক। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে একের পর এক ধস, প্রতিশ্রুতির অন্তহীন মিছিল এবং বাজার সংস্কারের ব্যর্থ চেষ্টায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভেঙে পড়েছে।
বর্তমানে দেশের শেয়ার বাজারে ফের দেখা দিয়েছে বড় ধসের ছায়া। একদিকে শেয়ার দরের পতন, অন্যদিকে আইপিও প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি—সব মিলিয়ে বাজারে নেমে এসেছে অস্থিরতা।
BSEC-এর স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (BSEC) সাম্প্রতিক কার্যক্রমে রয়েছে গুরুতর স্বচ্ছতার সংকট, দক্ষতার ঘাটতি ও রাজনৈতিক প্রভাব। কমিশন যে বাজারকে ন্যায়ভিত্তিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার পথে পরিচালিত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল, বাস্তবে তা অনেকটাই অনুপস্থিত।
আরও পড়ুন:
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বিনিয়োগকারীর কান্না, কারসাজির রাজত্ব
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর এক কোম্পানির শেয়ার
শেয়ারহোল্ডারদের অপেক্ষার অবসান: ৩ কোম্পানির ডিভিডেন্ড সভার তারিখ ঘোষণা
বিশেষ করে BSEC-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তা রাসেদ মাকসুদ-কে দায়ী করছেন অনেকেই। তাদের দাবি, তার অদক্ষতা ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তই পুঁজিবাজারে এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের কারণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে "মাকসুদ হঠাও, বিনিয়োগকারী বাঁচাও" স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছে।
কারসাজির চক্র, IPO অনিয়ম ও লভ্যাংশের ভেল্কি
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়মিতভাবে দর বাড়িয়ে কৃত্রিম মূল্যস্ফীতি তৈরি করছে এবং পরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে লাভ নিচ্ছে।
আইপিও প্রক্রিয়ায়ও অনিয়ম এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে না, সেসবকেও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাব বা ঘনিষ্ঠতা দেখিয়ে।
আরো উদ্বেগজনক হলো—অনেক কোম্পানি বছরের পর বছর লভ্যাংশ না দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাধ্যতামূলক লভ্যাংশ নীতির অভাবে এটি যেন একপ্রকার 'আইনসিদ্ধ প্রতারণা'য় পরিণত হয়েছে।
প্রভাবমুক্ত কমিশনের দাবি বিনিয়োগকারীদের
বর্তমান কমিশন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয় এবং এখানে পেশাজীবীদের অংশগ্রহণও প্রায় অনুপস্থিত। জবাবদিহিতার অভাব থাকায় বাজারে নেই কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও ন্যায্যতা।
বিনিয়োগকারীদের দাবি, কমিশনে যেন অভিজ্ঞ ও পেশাদার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়, এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে বাজারের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ, সামনে আন্দোলনের ইঙ্গিত
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মাকসুদ হঠাও, বিনিয়োগকারী বাঁচাও’ স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তারা কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকবেন না, প্রয়োজনে মাঠে নেমে আন্দোলনেও যাবেন।
তাদের মতে, যতদিন পর্যন্ত একটি দক্ষ, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক কমিশন গঠিত না হবে, ততদিন বাজারে আস্থা ফিরবে না এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকবেন।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে