শেয়ারবাজারে কারসাজির তদন্ত: ডিএসইর প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এনার্জিপ্যাক শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি নতুন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে গত কয়েক মাস ধরে চলছে এক অস্থির পরিস্থিতি। বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, আর এর মাঝে বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কারসাজি নিয়ে চলমান অভিযোগ আরো জটিল হয়ে উঠছে। এমন এক পরিস্থিতিতে এনার্জিপাওয়ার জেনারেশন পিএলসি (এনার্জিপ্যাক) কোম্পানির শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক উত্থান এবং সেই সাথে সংশ্লিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
শেয়ার দাম বেড়ে দ্বিগুণ!
এনার্জিপ্যাকের শেয়ার দাম গত ১২ কর্মদিবসে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ টাকার ৫০ পয়সা থেকে ২৪ টাকায়। এর মধ্যে, কোম্পানিটির দৈনিক লেনদেনও বেড়ে গেছে প্রায় ২০ গুণ। এমন অস্বাভাবিক লেনদেনের পেছনে কোনো মৌলিক কারণ ছিল না বলে অনেকেই মনে করছেন। বরং গুঞ্জন রয়েছে যে, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই শেয়ারটির দাম বাড়িয়ে মুনাফা আদায় করেছে।
আরও পড়ুন:
শেয়ারবাজারে তিন কোম্পানির ভিন্নচিত্র
শেয়ারবাজারে সুশাসন বাড়াতে কর ব্যবধান ১০% বাড়ানোর প্রস্তাব
ডিএসইর তদন্তে গাফিলতি
এনার্জিপ্যাকের শেয়ার লেনদেনের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত চালায়। তবে, ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে তিনটি সন্দেহজনক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার) হিসাবের তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছে এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনের তথ্যও অনুপস্থিত। এই অসঙ্গতিগুলোর কারণে বিএসইসি নতুন তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে।
বিএসইসির কড়া হুঁশিয়ারি
বিএসইসি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, শেয়ার বাজারে কারসাজি বা অস্বাভাবিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ থাকলে তা সহ্য করা হবে না। তারা ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করতে। কমিশন বলেছে, "এই ধরনের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ঘটনা তদন্তে কোনো ধরনের গাফিলতি বা তথ্য গোপন সহ্য করা হবে না।"
বাজারে মনোপলির শঙ্কা
এনার্জিপ্যাকের শেয়ার দামে এত দ্রুত বৃদ্ধি ও লেনদেনের অস্বাভাবিক পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে গুঞ্জন রয়েছে যে, এটি বাজারে মনোপলির খেলার ইঙ্গিত। ২৮ জানুয়ারি যখন লেনদেন ছিল মাত্র ৮৪ হাজার শেয়ার, তখন ৪ ফেব্রুয়ারি তা ২৭ লাখেরও বেশি হয়ে যায়, যা প্রকৃতপক্ষে একটি অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান।
বিএসইসি’র তদন্তে সব প্রশ্নের উত্তর জরুরি
বিএসইসি তদন্তে সব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে চাচ্ছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, "তদন্তে সকল তথ্যের ব্যাখ্যা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দায় নির্ধারণ এবং শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।"
এভাবে, বিএসইসি এখন থেকে সকল লেনদেনের সঠিকতা এবং শেয়ারবাজারের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গুজব এবং কারসাজির খেলা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে অবহিত থাকতে হবে। বাজারের প্রতি আমাদের দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি সবার জন্য নিরাপদ এবং লাভজনক হয়ে উঠতে পারে।
আল-আমিন ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল বিএসইসি
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা