ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

১০ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়লো, কে পড়লো ক্ষতির ফাঁদে?

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ৩০ ২২:০৬:৩৩
১০ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়লো, কে পড়লো ক্ষতির ফাঁদে?

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানি ৩১ মার্চ, ২০২৫ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কিছু কোম্পানি আয় ও সম্পদমূল্যে ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করলেও, অনেক প্রতিষ্ঠানকে পুঁজির চাপ ও লোকসানের বাস্তবতায় পড়তে হয়েছে।

ইস্টার্ন ক্যাবল লিমিটেড

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রান্তিকে ইস্টার্ন ক্যাবল শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। নয় মাস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল মাত্র ৭২ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪১ টাকা ১৮ পয়সা।

বঙ্গজ লিমিটেড

এই প্রান্তিকে বঙ্গজের ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৯ পয়সা। কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ২০ পয়সায়।

জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯৪ পয়সা। তবে তিন প্রান্তিকে ইপিএস কমে হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৫৪ পয়সা। ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৯ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৮ পয়সা।

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড

এই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮২ পয়সা, আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি আয় করেছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য ৩৫ টাকা ২১ পয়সা।

তাল্লু স্পিনিং মিলস পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে তাল্লুর শেয়ার প্রতি লোকসান ১ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৭১ পয়সায়।

জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড

এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস মাত্র ২ পয়সা লোকসানে নেমে এসেছে, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস কমে হয়েছে ৬৩ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ১ টাকা ৩৩ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৭৭ পয়সা।

আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড

এই প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস কমে হয়েছে ১৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৮৪ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭ পয়সায়, আগের বছর ছিল ২ টাকা ৪২ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য হয়েছে ৩৬ টাকা ৭৮ পয়সা।

শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ৬ পয়সা। তিন প্রান্তিকে আয় বেড়ে হয়েছে ৪৯ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল মাত্র ৯ পয়সা। ক্যাশ ফ্লো নেতিবাচক হলেও উন্নতি হয়েছে—মাইনাস ৮৭ পয়সা, আগের বছর ছিল মাইনাস ৩ টাকা ৮২ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৪৬ পয়সা।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯ টাকা ৭৪ পয়সা। তিন প্রান্তিকে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৬ পয়সা, আগের বছর ছিল ২৭ টাকা ২২ পয়সা। উল্লেখযোগ্যভাবে ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ১৪৯ টাকা ৩১ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল মাইনাস ১৪ টাকা ৩৫ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫৫ টাকা ১৮ পয়সা।

এমএল ডাইং অ্যান্ড টেক্সটাইল পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তিত থেকেছে ৩ পয়সায়। তিন প্রান্তিকে বেড়ে হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের বছর ছিল ৭ পয়সা। তবে ক্যাশ ফ্লো নেতিবাচক হয়েছে মাইনাস ৬৭ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩১ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৪ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকের চিত্র স্পষ্টতই দেখায়, যেসব কোম্পানি উৎপাদন ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ, তারা আয় ধরে রাখতে পেরেছে। অন্যদিকে, কিছু কোম্পানি বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কতার বার্তা। আগামীর দৃষ্টিতে এসব প্রতিবেদন বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ