রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম

কাউকে যেন জোর করে পাঠানো না হয়, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে সরকার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বা ইউএনএইচসিআরকে ঐ রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর সাথে কথা বলার অনুমতি দেয়।
গত দুদিন ধরে ঐ ৫০টি পরিবারের সবার সাথে কথা বলে ইউএনএইচসিআর তাদের একটি রিপোর্ট আজ (বুধবার) বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পুনর্বাসন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করে।
এরপর সন্ধ্যায় কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন, ইউএনএইচসিআর বলেছে, তালিকাভুক্ত দেড়শ শরণার্থীর একজন যেতে চায়না। তিনি বলেন, জাতিসংঘের রিপোর্টটি তারা ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালামও দিনভর সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করতে পারেননি যে বৃহস্পতিবার পরিকল্পনামত প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে।
সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের শুধু বলেন, "অলৌকিক কিছু তো অনেক সময় ঘটে।"
আহরার হোসেন বলেন, "কর্মকর্তারা শুধু মুখে বলছেন না যে আগামীকাল ( বৃহস্পতিবার) প্রত্যাবাসন হবেনা, কিন্তু তাদের কথাবার্তাকে স্পষ্ট যে সেটা হচ্ছেনা।"
কীভাবে তৈরি হয় এই তালিকাকীভাবে তারা এই তালিকা তৈরি করলেন যেখানে তালিকাভুক্ত একজনও ফিরতে চায়না?
শরণার্থী কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে 'র্যানডমলি' এই আট হাজার শরণার্থীর তালিকা তৈরি করে মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, পরে তালিকাভুক্ত এই লোকগুলোকে বুঝিয়ে ফিরতে রাজী করানো হয়েছিল।
জাতিসংঘ অবশ্য এই প্রক্রিয়া নিয়ে সবসময়ই সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলে - প্রত্যাবাসন না করে কিছু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠিয়ে বুঝতে চেষ্টা করা উচিৎ যে তারা তাদের বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবে কিনা।
দিনভরই অবশ্য শরণার্থী কমিশনার দফায় দফায় প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তারা দিনভর সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। । বৈঠকগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কর্মসূচি শুরু হওয়ার প্রস্তুতি হিসেবেই হচ্ছিল। বৈঠকগুলোতে ঢাকা থেকে আগত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাও ছিলেন।
এদিকে সীমান্তের ঠিক কোন জায়গা দিয়ে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা সুস্পষ্ট করে কিছু বলে নি।
তবে কক্সবাজারে নিযুক্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, "প্রত্যাবাসন কর্মসূচিটি যদি কাল থেকে শুরু হয় তাহলে সেটা টেকনাফের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়েই হবে।"
এরই মধ্যে সেখানে ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এই ট্রানজিট ক্যাম্পটি ঘুমধুম সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে রাবার বাগান নামক একটি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ট্রানজিট ক্যাম্পটিতে ৬০টি কামরা রয়েছে এবং কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন সেখানে ৩শ জন শরণার্থীর রাতে থাকার ব্যবস্থা আছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে গুজবের হিড়িকএদিকে এই প্রত্যাবাসন কর্মসূচি নিয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে নানা ধরণের গুজব ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত যে ১৫০জন শরণার্থী রয়েছে, তাদের অনেকেই শরণার্থী শিবির থেকে প্রত্যাবাসন এড়াতে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে তারা জানতে পেরেছে।
অবশ্য এই খবরটি বিবিসির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়া: হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্য একাদশ
- শেষ হলো ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়ার মধ্যকার ম্যাচ
- আইপিএলে তাসকিনকে দলে নিবে কি না জানিয়ে দিলো লখনৌ
- নেশনস লিগ: শেষ হলো ফ্রান্স বনাম ক্রোয়েশিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ
- বুকে পাথর চাপা দিয়ে সিদ্ধান্তটা মেনে নিচ্ছি আসিফ মাহমুদদের বলেন সেনাপ্রধান (ভিডিওসহ)
- শিশু আছিয়া ধ/র্ষণ ও হ/ত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে স্বীকারোক্তি
- মুস্তাফিজ নাকি তাসকিন আইপিএল খেলার জন্য কাকে এনওসি দিবে বিসিবি
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৯ মার্চ ২০২৫)
- শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট জানা গেল সত্যতা
- সেনাবাহিনীকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- লারার রেকর্ড ভেঙে টেস্টে ৪০৪ রানের ইনিংস খেললেন বাংলাদেশের মুস্তাকিম
- ৭৫ লাখ রুপিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজের সতীর্থ
- অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন: সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য সুখবর
- আওয়ামী লীগের পতনের কারণ
- জানা গেল খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময়