দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি

তিনি এ প্রসঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা শুধু চিঠি দিয়ে বসে থাকবেন- এটাও হবে না, আপনাদেরও ফরোয়ার্ড ডায়েরি অনুসরণ করতে হবে, এর ব্যত্যয় ঘটলে আপনাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ (বুধবার) প্রধান কার্যালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং ইউএনওডিসি এর আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের উপপরিচালক থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নলেজ শেয়ারিং সেশন এ বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশিক্ষণ সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের অর্থে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ অর্থের সঠিক ব্যবহারের জন্যই কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কী শিখছেন, কীভাবে নিজ কর্মে এর প্রয়োগ ঘটাবেন এবং কত সময়ের তা দৃশ্যমান হবে তার স্পষ্ট রূপরেখা প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শেষেই এ জাতীয় সেশনের মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে হবে। প্রত্যেককে অন্তত একটি লার্নিংপয়েন্ট নিজ কর্মে প্রয়োগের ব্যবস্থা এবং এর সম্ভাব্য ফলাফল প্রশিক্ষণ শেষে সাত কর্মদিবসের মধ্যে সচিবের কাছে দাখিল করতে হবে এবং সচিব ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক কিছুই করতে পারি কিন্তু করি না, এটা হতে পারে না। এর সমাপ্তি হওয়া উচিত। ডাটা বা তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ হচ্ছে অপরাধীদের অপরাধ চিহ্নিত করার প্রাথমিক সোপান। এ পর্যায়েই প্রাসঙ্গিক ডাটা সংগ্রহ করতে হয় এবং অপ্রাসঙ্গিক ডাটা বাদ দিতে হয়। তদন্তে সফলতার জন্য আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।হোমওয়ার্কের মাধ্যমে কর্মকৌশল না করে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপরাধীদের নিকট থেকে কাঙ্ক্ষিত তথ্যাদি পাওয়া কঠিন। তাই অবশ্যই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পূর্বেই যথাযথ হোমওয়ার্ক করে প্রশ্নমালা তৈরি করতে হবে এবং নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কমিশন ইতোমধ্যেই অন্যান্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে মানি লন্ডারিংয়ের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় আরও যৌথ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সম্পদ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাটা স্প্রেড শিট প্রদর্শন করা সমীচীন। স্প্রেড শিটের মাধ্যমে সকল তথ্য পরিমাণগত বিশ্লেষণ করে লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হলে অবৈধ সম্পদের সঠিক চিত্র আমাদের কাছে দৃশ্যমান হবে। তদন্তের গুণগত মানোন্নয়নে এসবের কোনো বিকল্প নেই। কারণ কমিশন প্রত্যাশা করে প্রতিটি মামলার নিখুঁত এবং আন্তর্জাতিক মানের তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। সঠিকভাবে তদন্ত ও প্রসিকিউশন হলে কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এসময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। তাই অপরাধীদের চেয়ে আমাদেরকে অধিকতর জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। এ পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় আইনের সর্বোচ্চ নিখুঁত প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) এএনএম আল ফিরোজ, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান, মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) একেএম সোহেল প্রমুখ। সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ৪৮ ওভারে ৩৯৬ রান করলো বাংলাদেশ
- প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, দেখেনিন সূচি
- নাহিদ মিরাজের বোলিং তোপে পাকিস্তান, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ সম্পূর্ণ ফ্রীতে লাইভ দেখবেন যে ভাবে
- ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের সেরা একাদশ
- ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ ওভার শেষ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- আজকের ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ৩১ ওভারের খেলা শেষ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- পাকিস্তানকে মাঝাড়ি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- অলআউটের পথে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর