ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শ্রমিক সংকটে মালয়েশিয়া সরকার, কপাল খুলে গেল বাংলাদেশী প্রবাসীদের

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ সেপ্টেম্বর ১৯ ২০:৪৮:৫২
শ্রমিক সংকটে মালয়েশিয়া সরকার, কপাল খুলে গেল বাংলাদেশী প্রবাসীদের

স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগের চেষ্টা চললেও এক্ষেত্রে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ান নাগরিক যারা বিভিন্ন জেলে বন্দি রয়েছে তাদেরকে এই খাতে কাজে লাগানোর প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।চলমান করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে কড়াকাড়ি আরোপ করায় বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা থেকে কর্মী এসে কাজে যোগ দিতে পারছে না। ফলে পাম অয়েল উৎপাদন ও ফল সংগ্রহ করা ব্যাপকহারে ব্যাহত হচ্ছে।

বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ পামওয়েল উৎপাদনকারী হলো মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে কমপক্ষে ৩৭ হাজার শ্রমিকের সংক’ট রয়েছে। মোট যে পরিমাণ শ্রমিকের প্রয়োজন এই সংখ্যা তার শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। মালয়েশিয়ান পামওয়েল অ্যাসোসিয়েশন (এমপিওএ) মনে করছে, সী’মান্ত খুলে দেয়া হলে এসব শ্রমিক আবার ফিরে আসবে। কিন্তু সরকার সকল সী’মান্ত ব’ন্ধ রেখেছে।

এদিকে সিম ডারবির এস্টেট ম্যানেজার ইমরান বলেন, প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ানদের নিয়োগের উ’দ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথমবারেই আমরা করো’নাভাই’রাস সংক’টের মুখোমুখি। এ সং’ক্রা’ন্ত শিল্পে এখন আশ’ঙ্কা, এবার পামওয়েল উৎপাদন মা’রাত্ম’কভাবে ‘ক্ষ’তিগ্র’স্ত হবে। কারণ, যে ফল থেকে পামওয়েল তৈরি করা হয়, তা ন’ষ্ট হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। ফলে উৎপাদন বা ফল সংগ্রহ বি’ল’ম্বিত হলে বড় আঘাত লাগতে পারে উৎপাদনে।

ফলে পামওয়েল উৎপাদনে মালয়েশিয়ার বড় প্র’তিদ্ব’ন্দ্বী ইন্দোনেশিয়া সুবিধা পাবে। কারণ, সেখানে শ্রমিকের কোনো সংক’ট নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে, মালয়েশিয়ায় টনপ্রতি পামওয়েল উৎপাদন খরচ কিছুটা বৃ’দ্ধি পেয়েছে। এই দাম ৪০৬ ডলার থেকে ৪৮০ ডলার।বি’শ্লেকরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ায় এই দাম টনপ্রতি ৪০০ ডলার থেকে ৪৫০ ডলার। সিমে ডারবি, আইওআই কর্পোরেশন ও ইউনাইটেড প্লান্টেশনসের মতো পামওয়েল উৎপাদনকারী কোম্পানিতে কাজ করার জন্য শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ শ্রমিক সরবরাহ দিয়ে থাকে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ।

এ খাতে মালয়েশিয়ানদের নিয়োগ দেয়ায় তাদের রিক্রুটমেন্ট ফি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি রক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু এই খাতের সঙ্গে যারা জড়িত তারা এ প্রক্রিয়া নিয়ে উ’দ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন পামওয়েল খাতে যে ক’ষ্টকর কাজ তা অনেকটা নোং’রা ও বিপ’জ্জ’নক। ফলে মালয়েশিয়ানরা এসব কাজ করতে চায় না। কারণ, তারা একে খুব ক’ঠিন কাজ বলে মনে করেন।

এমপিওএর প্রধান নির্বাহী নাগিব ওয়াহাব বলেছেন, যদি স্থানীয়দের নিয়োগ করা যায় তাহলে হয়তো উৎপাদন খরচ কমে আসবে। কিন্তু তারা কি এসব কাজ অভিবাসী শ্রমিকদের মতো করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বড় এক প্রশ্ন রয়েছে। ক’রোনাভাই’রাসের কারণে মালয়েশিয়ার বিশাল পামওয়েল শিল্পে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছে এ শিল্পের সঙ্গে জ’ড়িত সংশ্লিষ্টরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে