ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দারুণ সুখবরঃ আবারও বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বাড়ছে

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ সেপ্টেম্বর ২০ ২৩:০০:১৩
দারুণ সুখবরঃ আবারও বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বাড়ছে

এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ বিমানই সপ্তাহে অন্তত ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, টার্কিশ এয়ার, এয়ার এরাবিয়া, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস, ফ্লাই দুবাই, মালিন্দো, এয়ার এশিয়া, গালফ এয়ার, ওমান এয়ার ও সালাম এয়ারসহ আরও ছয়টি কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।

আগামী মাসে আরও কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, শিগগিরই জেদ্দা-ঢাকা-জেদ্দা রুটে সাউদিয়া এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের দু’টি ফ্লাইট প্রতি সপ্তাহে চলাচল করবে।

সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সাউদিয়া এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি দিয়েছে। ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সকেও দুবাই-ঢাকা-দুবাই রুটে প্রতি সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।

কিন্ত জেদ্দা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ঢাকা- জেদ্দা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এখনো অনুমতি দেয়নি।

এদিকে, এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল রুটে সপ্তাহের সাতদিনই ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্কভিত্তিক টার্কিশ এয়ারলাইন্স। আগামী ১ অক্টোবর থেকে বর্ধিত ফ্লাইট ঢাকা রুটের যাত্রী পরিবহন শুরু করবে তারা।

বিমান সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দুবাই, আবুধাবি, লন্ডন ও কাতারে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। এ মাসের শুরুতে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে গালফ এয়ার, ওমান এয়ার ও সালাম এয়ারকে। সব মিলে আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠছে হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে ১৮টি এয়ারলাইন্স কোম্পানি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিল। তাদের সবাইকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের গন্তব্য মোট ২৩টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দুবাই, আবুধাবি, লন্ডন, কাতারে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। এ মাসের শুরুতে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে গালফ এয়ার, ওমান এয়ার ও সালাম এয়ারকে। তবে ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু হয়নি এখনো।

সূত্র জানায়, ভারতের কোম্পানি ‘এয়ার বাবল’ দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে আবেদন করেছে। ওই কোম্পানি আরও আটটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও তারা চুক্তি করতে চাইছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিল্লি যেতে চায়, ইউএস বাংলা চেন্নাই এবং নভোএয়ার কলকাতা যেতে চায়। ভারতের ফ্লাইটগুলোর গন্তব্য জানতে এরই মধ্যে সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ মাসের শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে।

বিমান বন্দর সূত্র জানায়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়। করোনায় দেশে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীরা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করছে। অনেকে দেশে ফিরছেন। অনেকদিন পর কেউ কেউ সপরিবারে বিদেশ যাচ্ছেন। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকেই দেশের অভ্যন্তরের রুটগুলোতে শুরু হয়েছে বিমান চলাচল। এরপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও। জানা গেছে, ফ্লাইটের সাথে প্রতিদিনই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। লাইন দিয়ে যাত্রীরা বিমান বন্দরে প্রবেশ করছেন। প্রবেশ পথেই যাত্রীদেরকে সরবরাহ করা হচ্ছে মাস্ক, হ্যান্ড গøাভস এবং স্যানিটাইজার।

দুবাইগামী যাত্রী সারোয়ার আলম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ব্যবসার কাজে যেতে পারছিলাম না। এরপর ফ্লাইট চালু হলেও নানারকম ভোগান্তি ছিল। এতে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় দুবাই যাচ্ছি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

সিভিল এভিয়েশেনর একজন কর্মকর্তা গতকাল প্রবাসমেইল-কে বলেন, যে সব কোম্পানিকে এরই মধ্যে অনুমতি দেয়া হয়েছে তারা গন্তব্যভেদে সপ্তাহে ২-৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও কোয়ারেন্টাইন সক্ষমতা বিবেচনা করে ক্রমান্বয়ে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক রুটগুলোর মধ্যে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ফ্লাইটের চাহিদা রয়েছে।

এদিকে, আটাবের সাবেক সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব গতকাল প্রবাসমেইল-কে বলেন, সউদী আরবে লকডাউন শিথিল করা হলেও বাংলাদেশে ছুটিতে আসা কয়েক লাখ প্রবাসী কর্মী কর্মস্থলে যোগদান করতে পারছে না। তারা অনেকটা অনিশ্চয়তার মুখে। তিনি বলেন, জেদ্দা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কোনো অনুমতি দিচ্ছে না। এতে দেশে আটকে পড়া লাখ লাখ প্রবাসী কর্মী সউদীতে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে