ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অধিনায়ক হিসেবে তাহলে পূর্ণ স্বাধীনতাই পাচ্ছেন সাকিব

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২২ আগস্ট ১৪ ১৯:৪৩:৪৩
অধিনায়ক হিসেবে তাহলে পূর্ণ স্বাধীনতাই পাচ্ছেন সাকিব

বেটউইনার বিতর্ক চলে আসায় আলোচনার বাইরে চলে যায় সাকিবের শর্তাবলীগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব সাকিবের কাছেই গিয়েছে। তার মানে কি এই নয়, যে বিসিবি সাকিবের সকল শর্তই মেনে নিয়েছে। সাকিবের শর্তগুলো কি ছিল তা বোধহয় জানার কোনো উপায় নেই। তবে কিঞ্চিৎ ধারণা ঠিকই করা যায়, নিঃসন্দেহে শর্তের মূল বিষয় ছিল অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া। অর্থাৎ সাকিব কাঠ পুতুল অধিনায়ক হতে চাননি।

তিনি চেয়েছেন দলকে নিজের মতো করে সাজাতে। নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বাহিরে থেকে কোন চাপ যাতে না আসে, এবং তিনি যাতে নিজের মতো করে সব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এরকমই হয়তো শর্ত দিয়েছিলেন সাকিব। যা তিনি বছরখানেক আগে বিভিন্ন ইন্টারভিউতেও বলেছেন যে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হলেই অধিনায়কত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে কাঠপুতুল অধিনায়কত্বের সংস্কৃতি অনেক সময় ধরেই আছে। একমাত্র মাশরাফি বিন মর্তুজা ছাড়া বোধহয় কোনো পুরোপুরি স্বাধীন অধিনায়ক দেখেননি ক্রিকেট ভক্তরা। মুমিনুল তো কাঠপুতুল অধিনায়কের আদর্শ উদাহরণই ছিলেন।

দল নির্বাচন থেকে শুরু করে মাঠের সব সিদ্ধান্তই বাইরে থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট দিয়ে দিত। শুধু টস করতেই মাঠে যেতেন অধিনায়ক মুমিনুল। বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও পুরোপুরি স্বাধীন নয়। নিজের ২০২৩ বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় ইমরুলকে রেখেছিলেন তামিম। যা বেশ কয়েকবার মিডিয়াতেও বলেছেন এই ওপেনার।

তবে টিম ম্যানেজমেন্টের চাপেই শেষ পর্যন্ত ইমরুলকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি ওয়ানডে অধিনায়ক। এছাড়াও উইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন তামিম। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের কারণে সিরিজ জেতার পরও বেঞ্চ পরীক্ষা করতে পারেননি এই ক্রিকেটার।

এরকম কিছুই নিজের বেলায় ঘটতে দিতে চান না সাকিব। ভালো করলে বাহবা এবং খারাপ করলে দায় মাথা পেতেই নিতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিশ্চিতভাবেই সাকিবের পূর্ণ স্বাধীনতা চাওয়ার ব্যাপারটি প্রশংসনীয়। নিশ্চিতভাবেই আপনি যেই কাজই করেন না কেনো, পূর্ণ স্বাধীনতা আবশ্যিক।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে