ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইসিসি ইভেন্টে কেন ভালো করতে পারে না ভারত

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২২ সেপ্টেম্বর ২১ ১৭:১৯:৫৩
আইসিসি ইভেন্টে কেন ভালো করতে পারে না ভারত

২০০৭ সালের প্রথম টি২০ বিশ্ব কাপ জয়ের পর কেটে গেছে ১৪ বছর এর মধ্যে আর কখনই জিততে পারেনি ভারত। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্ব কাপ জয়ের পর বিগত দুই বিশ্ব কাপে হট ফেবারিট হয়েও সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। বিগত দুই এশিয়া কাপে ভালো করতে পারনি ভারত। অথচ কাগজে কলমে তারাই এশিয়ার সবচেয়ে শক্তি শালী দল।

আইসিসি ইভেন্টে ভারতের টানা ব্যর্থতা থামছে না। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালসহ টানা ৯ টি আসরের শেষ মুহুর্তে খেই হারালো ভারত। পুরুষ, নারী কিংবা বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরের ফাইনাল কিংবা সেমিতে উঠলেই স্বভাবজাত ক্রিকেট খেলতে পারছে না দলটি। শিরোপা জয়ের কাছে গিয়ে বারবার এমন ব্যর্থতা দলটিকে ক্রিকেটের ‘নব্য চোকার্স’- এ পরিণত করছে।

শুরুটা হয়েছিল পুরুষদের ক্রিকেটে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে। যেবার শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ৬ উইকেটের পরাজয়ে শিরোপা হাতছাড়া হয় ধোনিদের। এর পরের বছরেই ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে থমকে যায় ভারত। সেমিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ভারতকে হারায় ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে।

এর পরের ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিতে আবারও স্বপ্ন ভাঙে ভারতের। উত্তেজনাকর ম্যাচে শেষ ওভারে ভারতকে ঘরের মাঠে কাঁদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঐ বছরে ভারতীয় নারীরা ফাইনাল হারে ওয়ানডে বিশ্বকাপের। আর সেই বছরেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে আবারও খেই হারায় কোহলিরা। রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

২০১৮ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে বাদ পড়ে ভারতীয় মেয়েরা। ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হারে কোহলিরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ফেভারিট হবার পরেও ভারতের হৃদয় ভাঙে কেন উইলিয়ামসনরা।

এর পরের বছর আরো দুটি ফাইনাল হারে ভারত। যুবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে ভারতীয় যুবারা এবং অস্ট্রেলিয়াতে স্বাগতিক নারীদের কাছে হেরেছে দারুন ক্রিকেট খেলতে থাকা ভারতীয় নারীরা। এই নিয়ে আইসিসি ইভেন্টের টানা ৯ বার নক আউট এবং ফাইনালে স্বপ্ন ভেঙেছে ভারতের। প্রায় প্রতি টুর্নামেন্টেই শিরোপা জয়ের দাবি নিয়ে শুরু করা ভারত খেই হারায় শেষ দিকে।

নক রাউন্ড এলেই দক্ষিণ আফ্রিকা পারে না- এমন একটি কথা প্রচলন বহু আগে থেকে। এ কারণে প্রোটিয়াদের অবহিত করা হয় ‘চোকার্স’ হিসেবে। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা হলেই সম্ভবত খুশী হয় অন্য দেশগুলো। আর ভারতের যে দুর্দশা চলছে, তাতে পরবর্তী বার থেকে সেমি ফাইনাল কিংবা ফাইনালে ভারতকে প্রত্যাশা করাটা সাধারণ হয়ে দাঁড়াবে বাকি দলগুলোর জন্য।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে