ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চলছে কাতার বিশ্বকাপ এরই মধ্যে মারা গেলেন কিংবদ্ধন্তি ফুটবলার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২২ নভেম্বর ২৯ ২১:২৭:০১
চলছে কাতার বিশ্বকাপ এরই মধ্যে মারা গেলেন কিংবদ্ধন্তি ফুটবলার

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফুটবলার আজমত জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান ১৯৮০ সালে।

সেবার অনুর্ধ্ব-১৯ ওয়ার্ল্ডকাপ এশিয়া বাছাই পর্বের খেলায় প্রথম সুযোগ পান স্টপার ব্যাক পজিশনে। পরের বছর জাতীয় দলের মূল দলে ডাক পান। টানা ৮ বছর খেলেন জাতীয় দলের হয়ে। এর মধ্যে ৮৫ সালে প্রথম সবুজ দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান। ৮৬ সালে তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান কায়েদে আজম ট্রফিতে খেলে বাংলাদেশ। তবে ৮৮ সালে অনেকটা অভিমান করেই জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।

আশির দশকে রক্ষণভাগ সামলে বাংলাদেশের যে সব ডিফেন্ডার ফুটবল ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখতে সক্ষম হয়েছিলেন- তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন আজমত আলী। তাকে ভেদ করে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ডি-বক্সে ঢুকে গোল করা ছিল কঠিন কাজ। আশির দশকে ফুটবলের স্বর্ণযুগে ধারাভাষ্যকাররা আজমকে তুলনা করতেন চীনের প্রাচীরের সাথে। আর গলিগলি আড্ডায় ফুটবল প্রেমিকদের কাছে আজমত পরিচিত ছিলেন ‘বেড়া’ হিসেবে।

ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে আজমতের অভিষেক হয়েছিল মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের হয়ে। ফুটবল জীবনের বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন ব্রাদার্স ক্লাবে। শেষ বিদায়টাও ছিল এ ক্লাবের হয়েই।

ফুটবলার আজমতের ছোট ছেলে আহসানুল হক অর্নব জানান, তার বাবা বেশ কয়েকবার জাতীয় দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সব রীতি মেনেই এবার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিশ্বাস ছিল, জীবনের শেষ বেলায় এসে তিনি এই মর্যাদাটুকু পাবেন। কিন্তু তালিকাতে নাম না থাকায় হতাশ হতে হয়েছে নানা রোগে আক্রান্ত আজমত আলীকে। অথচ ফুটবলে আজমত আলীর চেয়ে যাদের অবদান অনেক কম, তারাও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বলে দাবি তার পরিবারের।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে