ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটের ৮৯ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বরিশালকে বিশাল রানের টার্গেট দিল সিলেট

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ জানুয়ারি ২৪ ১৫:২৭:৩৪
সিলেটের ৮৯ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বরিশালকে বিশাল রানের টার্গেট দিল সিলেট

মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে মাশরাফীর সিলেট। ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম ২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট।

সেখান থেকে শান্তর অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সিলেট। মাশরাফীদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিতে হলে বরিশালকে করতে হবে ১৭৪ রান।

মিরপুরে এদিন সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ওভার করতে বল হাতে নেন বরিশালের সৈয়দ খালেদ। প্রথম তিন বলে বাউন্স এবং পেসে পরাস্ত করেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। চতুর্থ ওভারেও অফ সাইডে দারুণ এক বাউন্স দেন খালেদ। যা উড়িয়ে মারেন শান্ত। বাউন্ডারি লাইনে সহজ ক্যাচ উঠে মোহাম্মদ ওয়াশিমের হাতে।

কিন্তু এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ক্যাচ মিস করলে ছয় পেয়ে যায় শান্ত। পরের বলে আবারও চার হাঁকান এই ব্যাটসম্যান। আগের ওভারে ক্যাচ মিস করা ওয়াশিম বল হাতে নিয়ে নিজের ভুলের খেসারত দেন জাকির হাসানকে বোল্ড করে। নিজের প্রথম বলেই জাকিরের স্টাম্প উড়িয়ে দেন ওয়াশিম।

তিনে ব্যাটিংয়ে নামেন সিলেটের অন্যতম পারফরমার তৌহিদ হৃদয়। তবে এদিন ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি তৌহিদ। মাঠে নেমেই একটি চার মারা তৌহিদকে থার্ডম্যান অঞ্চলে খালেদের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান ওয়াশিম।

তবে কেবল জাকির, তৌহিদের উইকেট তুলে নিয়ে ক্ষান্ত হননি ওয়াশিম। নিজের করা প্রথম ওভারে তুলে নেন তিন উইকেট। তৌহিদকে ফেরানোর পরের বলে এলবির ফাঁদে ফেলেন মুশফিকুর রহিমকেও। ফলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে ওয়াশিমের। অন্যদিকে ২ ওভারের মধ্যে ১৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট।

সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে টম মুরসকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়ে তোলেন শান্ত। দুইজনে অবশ্য দেখে শুনে ধীরে খেলেন এই জুটির সময়ে। মুরস ৩০ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ৪০ রান করে আউট হয়ে ফিরলে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন শান্ত।

৪৮ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। এরপর দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। পরের ৩৯ রান করেন মাত্র ১৮ বলে।

এরমধ্যে পেরেরার সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে শান্ত আরও যোগ করেন ৬৮ রান। যেখানে পেরেরার সংগ্রহ ছিল মোটে ২১ রান। শেষ পর্যন্ত শান্ত ৬৬ বলে ১১টি চার ও ১টি ছয়ে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এই ম্যাচে সাকিব মোট ৮ জন বোলার ব্যবহার করেন। তবে এরমধ্যে কেবল ওয়াশিম, সাকিব এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি উইকেট শিকার করেন। সাকিব ও রাব্বি নেন ১টি করে উইকেট। মোহাম্মদ ওয়াশিম ৩৪ রানে নেন ৩ উইকেট।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে