ঢাকা, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১

আফগানিস্তানকে বিশাল রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৯:২৫:৪৩
আফগানিস্তানকে বিশাল রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল একবার বলেছিলেন, দলের হার নিশ্চিত ভেবে সবাই যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখনও জয়ের জন্য আত্ববিশ্বাসী দেখা যায় মেহেদী হাসান মিরাজকে। সেই কথাই যেন আবারও প্রমাণ দিলেন এই অলরাউন্ডার।

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামায় টিম ম্যানেজম্যান্ট। ওয়ানতে এর আগে একবারই ওপেনিং করেন তিনি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। সে ম্যাচে লিটনের সঙ্গে ১২০ রানের ওপেনিং জুটিতে মিরাজের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৩২ রান।

ওপেনিং মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গী মিরাজ। সর্বশেষ ৬ ম্যাচে এটি পঞ্চম ওপেনিং জুটি। দুইজন মিলে স্কোর বোর্ডে তোলেন ৬০ রান। দশম ওভারে ৩২ বলে ২৮ রান করা নাঈমকে ফিরে এই জুটি ভাঙেন মুজিব উল হক।

ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আনা হয় তাওহিদ হৃদয়কে। কিন্তু দুবল ব্যবধানে ডানহাতি এই ব্যাটারকে (০) ফেরান গুলবাদিন নাঈব। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাড়ায় টাইগাররা। ৬৫ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক করেন মিরাজ। আর অর্ধশতক করতে শান্ত খরচ করেন ৫৭ বল।

ধীরে ধীরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন দুজন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন মিরাজ। ১১৫ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কা এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এরপর শতক করেন শান্ত। তিনি খেলেন ১০১ বলে ৯টি চার ও দুটি ছক্কা এই শতক করেন। একই ইনিংসে পঞ্চমবারের মতো শতক পেলেন বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার। সর্বশেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

মিরাজ-নাজমুল মিলে গড়েন ১৯৪ রানের জুটি। এশিয়া কাপে যে কোনো উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০ রানের জুটিটি ছিল সর্বোচ্চ।

মুজিবকে ছক্কা হাঁকানোর পর ১১৯ বলে ১১২ রানের রির্টায়ার হার্ট নেন মিরাজ। আর শান্ত (১০৪) ফিরেন রান আউট হয়ে। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম (১৫ বলে ২৫), সাকিব আল হাসান (১৮ বলে ৩২*) ও অভিষিক্ত শামীম হাসান পাটোয়ারীর (৬ বলে ১১) ক্যামিও ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের স্কোর পায় বাংলাদেশ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে