ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

জার্মানিতে এত মানুষ শহর ছাড়ছে কেন

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:২০:০২
জার্মানিতে এত মানুষ শহর ছাড়ছে কেন

আধুনিক এই সময়ে যখন বেশিরভাগ মানুষ শহরমুখী হচ্ছে, আর জনশূন্য হচ্ছে গ্রাম, তখন ইউরোপের এক দেশে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন দৃশ্য। সেখানে বহু মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছে। দেশটির নাম জার্মানি। জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত তিন দশক ধরে জার্মানিতে একটি সাধারণ প্রবণতা ছিল গ্রাম থেকে শহরে যাওয়া। কাজের খোঁজে, পড়াশোনার প্রয়োজনে কিংবা অভিবাসনের প্রত্যাশায় বেশির ভাগ মানুষ শহরেই যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রবণতার উল্টো ঘটনা ঘটেছে।

২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে জার্মান সরকার বলেছে, ২০১৭ সালের পর ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী বিবাহিত ও সন্তানসম্পন্ন মানুষের মধ্যে গ্রামে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে। এ ছাড়া ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ পেশাজীবীরাও প্রবলভাবে গ্রামমুখী হয়েছেন।

বার্লিন ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এখন গ্রামে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির গবেষক ও মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক সিক্সটাস বলেন, ২০২১ সালে দুই-তৃতীয়াংশ গ্রামীণ সামাজে অভিবাসন বেড়েছে। এক দশক আগে প্রতি চারটি গ্রামীণ সমাজের একটিতে এমন ঘটনা ঘটত।

অভিবাসনের ধরন পরিবর্তন নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণের প্রয়োজনে গবেষকেরা জার্মানির কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শনে যান। ফ্রেডেরিক সিক্সটাস বলেন, ‘আমি গ্রামে গিয়ে অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ কেউ জানিয়েছেন, শহুরে জীবনযাপনের বিপুল খরচ থেকে বাঁচতে তারা গ্রামে বসবাস শুরু করেছেন।’

গবেষকেরা বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে বুঝেছেন যে, অপেক্ষাকৃত কম খরচ ও দূষণমুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশই বেশির ভাগ মানুষকে গ্রামের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। ফ্রেডেরিক সিক্সটাস আরও বলেন, করোনা মহামারির পর মানুষের মধ্যে দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করার প্রতি আস্থা জন্মেছে। ফলে শহুরে অফিসে বসে আর কাজ করার তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেকেই গ্রাম থেকে কাজ করতে পারছেন।

শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে আসা এক ব্যক্তি বলেন, এখানে সবাই সবার দেখাশোনা করে, যেটি শহরে আপনি পাবেন না। এখানে রাস্তায় দেখা হলে একে অপরের খোঁজ খবর নেয়। এমন সুন্দর অনুভূতির অভিজ্ঞতা আপনার শহরে হবে না।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে