ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নিজেকে পরিবির্তনের বড় চ্যালেঞ্জের মুখে সাকিব, পারবেন কি মাশরাফি হতে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ নভেম্বর ২৭ ১১:৩৮:৪০
নিজেকে পরিবির্তনের বড় চ্যালেঞ্জের মুখে সাকিব, পারবেন কি মাশরাফি হতে

বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২৯৮ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম চমক। তিনি মাগুরা ১, ২ ও ঢাকা ১০ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মাগুরা ১ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

শাকিবকে দেখা যাবে নতুন চরিত্রে, সেটা কোনো খেলা বা ব্যবসায়ী নয়, এটা রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। এখন দেখা দরকার ২২ গজের মাঠে আধিপত্য বিস্তার করা বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার রাজনীতিতে কী করতে পারেন। মাঠে এগারো জনের সঙ্গে লেনদেন আর তার এলাকার প্রায় চার লাখ মানুষের সঙ্গে লেনদেন এক নয়, সাকিব কীভাবে সামাল দেন সেটাই দেখার বিষয়।

মাশরাফি বাংলাদেশ দলের সফল অধিনায়ক যিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। মাশরাফি দেখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতির মাঠে ও মাঠের বাইরে রাজত্ব করতে হয় এবং মানুষের মন জয় করে বিশ্বের সেরা রাজনীতিবিদদের তালিকায় নাম লেখাতে হয়। সাকিব কি রাজনীতিতে সেরা হতে পারেন?

ওবায়দুল কাদের বলেছেন সাকিব এখন থেকে রাজনীতি করবেন একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি রাজনীতি করবেন এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। এখন দেখার বিষয় সাকিব কিভাবে তার রাজনৈতিক আদর্শ তাকে ধরে রাখে রাজনৈতিক জগতে কাকে ফলো করেন। মাশরাফির মত এগিয়ে তিনি কি নাজমুল হাসান পাপনের মত একজন সফল রাজনীতিবিদ হবেন।

সাকিবের ক্যারিয়ার টা যেমন বর্ণাঢ্যময় তাকে নিয়ে মানুষ প্রশংসা করে, তাকে মানুষ ভালোবাসে, বাংলাদেশকে এক নামে পরিচয় দিতে গেলে সাকিবের নামটি চলে আসে ।তবে ক্রিকেটের মাঠ আর রাজনীতির মাঠ দুটি ভিন্ন বিষয় এবং ভিন্ন ধারার মানুষ এখানে থাকে যে ক্রিকেট ভালোবাসে সে হয়তো বা সাকিবের রাজনৈতিক দলটিকে পছন্দ নাও করতে পারে সে ক্ষেত্রে সাকিব কিভাবে এগিয়ে যাবে এবং দিনশেষে কিভাবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারটাকে এগিয়ে নেয় কোন মতাদর্শে সেটাই দেখার বিষয়।

ক্রিকেট অনেক সহজ বিষয় নয় এখানে অনেক প্রেসার থাকে কিন্তু রাজনৈতিক ক্যারিয়ারটা আরো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় সেখানে কোন কিছু সাজানো গোছানো থাকে না। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যেখানে নিজের সাথে জড়িয়ে থাকে আরো অনেক মানুষের ভবিষ্যৎ। ক্রিকেট বোর্ডে অল্প কিছু মানুষের সাথে মত শেয়ার করতে হয় বা ড্রেসিং রুমে অল্প কিছু শেয়ার করতে হয় কিন্তু রাজনৈতিক মাঠটা ভিন্ন এখানে প্রচুর মানুষ প্রচুর মতামত থাকে। তবে দিনশেষে আমরা সবাই তাকে স্বাগত জানাই তার রাজনৈতিক এই ক্যারিয়ারটাকে।

সাকিবকে যেন অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল থাকে মানুষের প্রতি সাকিব খুব দ্রুত রেগে যায় এবং তার সেই ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে এখনো রয়েছে তিনি যদি রাজনীতি ক্যারিয়ারে এমনটা করেন তবে সেটি হবে নেতিবাচক । সাকিব তার মেধা দিয়ে অনেক কিছু অর্জন করেছে ,অনেক রেকর্ড করেছে ,দেশকে অনেক সম্মানের দিকে নিয়ে গিয়েছে তবে যদি প্রশ্ন থাকে তিনি মানুষ হিসেবে কতটুকু মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছে সেই উত্তরে কিন্তু থেকে যাবে ।তার মানে তিনি পুরোপুরি ভাবে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেনি সেক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় শেষে তিনি কি পারবে পুরোপুরি মাশরাফির মত বদলে যেতে?

রাজনৈতিক মাঠে আসার আগে সাকিবের জীবন ছিল অন্যরকম তার প্রতি মানুষের সম্মাননা ছিল অন্যরকম কিন্তু নির্বাচনের পরে সেটি তখন অন্যদিকে যাবে তখন মানুষ দেখবে তার ব্যবহার শ্রদ্ধাবোধ এগুলো তিনি কেমন করছেন জনসাধারণের প্রতি। এইতো কিছুদিন আগে সাকিব তামিম দ্বন্দটা নিয়ে যা হল এটা খুবই নিন্দনীয় কারণ মানুষের সাথে মানুষের মনোমালিন্য হতেই পারে সেটা নিয়ে এতটা নিচে নামার কিছু নেই।

সাকিবের একটু ইগো বেশি এটা সকলেই জানে কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ইগো থাকতে নেই এটা যদি ধারাবাহিকভাবে থাকে এবং তিনি পরিবর্তন না করে তাহলে সেটা হবে খুবই খারাপ কারণ জনসাধারণের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে তাকে। একজনের সাথে মতের মিল নাই হতে পারে সেজন্য তাকে থাকতে হবে শান্ত নমনীয়। সাকিব মানুষ হিসেবে খুবই ভালো পুরোপুরিভাবে পারফেক্ট শুধুমাত্র তার রাগটাকে কন্ট্রোল করলে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে তারা রাজনৈতিক ক্যারিয়ারটাও হবে তার ক্রিকেটে ও ক্যারিয়ারের মত সুন্দরওবর্ণাঢ্যময়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে