ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

পলিটিক্সে বাদ পড়া এই ক্রিকেটারি জয়ের মহানায়ক

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ ডিসেম্বর ০২ ১৭:০০:১২
পলিটিক্সে বাদ পড়া এই ক্রিকেটারি জয়ের মহানায়ক

আলোর স্বল্পতার জন্য বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দেরিতে শেষ হয়েছে। পরাজয়ের দিকটা যদি বিবেচনা করা হয় বাংলাদেশ পরাজয়ে অভ্যস্ত। তিন চারদিন ওটা না খেলতে পারেনা দুর্বল বাংলাদেশ, তারা খুব দ্রুত হেরে যায়। এবার ঘটেছে তার ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ খুব সহজে শক্তিশালী দল-নিউজিল্যান্ডের সাথে জিতেছে।

এ জয় ফলে বাঙ্গালী জাতি অনেক বেশি খুশি হবে। সমসাময়িক অনেক বিষয়ের বিতর্ক থেকে বিসিবি রক্ষা পাবে। কোচ হাতুরা সিংয়ের উপর চাপ কমবে। দিনশেষে যিনি ছিলেন জয়ের নায়ক তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে মূল্যায়ন করা হয়নি। তাকে পিছনে ফেলে জয়টা উদযাপন করতে চায় বিসিবি। এরকম একজন খেলোয়ারকে খুব সহজেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিতে পারে বিসিবি। গুনির কদর করা যেন বুঝেইনা তারা।

যার কারনে জয়টা পেয়েছে তিনি আর কেউ নয় তিনি হলেন তাইজুল। শীতের সকালে প্লেনে করে সিলেট গিয়ে পুরো ক্রেডিটটা নিতে চায় বিসিবি। নিউজিল্যান্ডের ৩১৭ রানের বিপক্ষে চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের মতো দলের বিপক্ষে এটা একটা ছোট লিগ।আরও বড় স্কোরিং এর সম্ভাবনা ছিল যেটাকে সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ২য় ইনিংসেও ছয় উইকেট নিয়েছিল তাইজুল, টেস্ট ক্রিকেটে এটি একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা।

তাজুলকে দিয়ে শুধু ওয়ানডে খেলানো হতো। এক ম্যাচ খেলালে পরের ম্যাচে থাকে বাদ রাখা হতো। একই ধারাবাহিকতা টেস্ট কেউ রাখে। একটা সময় তাকে টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ দেওয়া হল এশিয়া কাপে বাদ দেওয়া হল। এভাবে আস্তে আস্তে বিশ্বকাপ থেকেও তাকে বাদ দেয়া হলো। একটাই অপরাধ ছিল সেটা হল তিনি তামিমের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তামিমের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকাটাই তার ক্যারিয়ারে কাল হয়ে গেল।

বিশ্বকাপের আগে ট্রায়াল ১৮ টার বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। বিশ্বকাপের আগে ১০ ম্যাচে বিশ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই তাইজুল টেস্ট ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গতকাল প্রেস মিটিংয়ে তিনি বলেছেন আমারও আফসোস হয় , আমারও খারাপ লাগে। তিনি হয়তো সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারেননি তবে মানুষের আবেগের জায়গাটায় আঘাত করেছে।

হাতুরা সিংসহ টিম প্যানেলের কর্মকর্তারা এখন ক্রেডিট নিয়ে বলবে তারা সুন্দর করে দল সাজিয়েছে এবং তার প্রমাণ তারা দেখিয়েছে। মাহমুদুল্লাহ সাথে ও একই কাহিনী করেছিল বিসিবি ।মাহমুদুল্লাহ কে সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল তারা। বিশ্বকাপ মাঠে যোগ্য জবাব দিয়েছে মাহমুদুল্লাহ।দেখিয়েছে কিভাবে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। শুধু তাই নয় বিশ্বকাপের বিভিন্ন পজিশনে মাহমুদুল্লাহ কে নামানো হয়েছে ।যাতে তিনি এডজাস্ট করে ব্যাটিং না করতে পারে ।তিনি সেটা করে দেখিয়েছেন ,যে পাড়ার সেসব জায়গাতেই পারে। সবথেকে বেশি রান কার ছিল এবং হাইয়েস্ট ট্রাইকরেটতো তার ছিল। যদিও বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর লজ্জা পাননি বিসিবি ।যদি পেতেন তাহলে এর যোগ্য বিচারের জন্য তদন্ত টিম গঠন করতেন তারা।

বিসিবি আসলে বাংলাদেশ দলের কথা ভাবতো তাহলে এই তাইজুল ইসলাম অবশ্যই বিশ্বকাপের দলে থাকতো। ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা ১৮টি ম্যাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো না। এক ম্যাচ খেলানোর পর পর তাকে বাদ দেওয়া হত না। তাইজুল-মাহমুদুল্লাহর মতো ভালো ভালো খেলোয়ারদেরকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ কিভাবে প্ল্যান করে? এই বিষয়ে বিসিবির নীতি নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে।

এমনিতেই দল যখন ব্যর্থ হয় তখন ক্যাপ্টেন , কোচ সবাই দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল এটি বারবার প্রমাণের চেষ্টা করে তারা। তাইজুলকে বাদ দিয়ে তারা বারবার ব্যর্থ সৌম্যকে নিয়ে দল গঠন করে। সম্মান বাড়াতে পারে বাংলাদেশ দলের জন্য ,পারফেক্ট প্লেয়ার তাদের ব্যাপারে বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। আর কতদিন চলবে? আর কত প্রতিভাকে নষ্ট করবে তারা?

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে