টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ

মেহেদি হাসান মিরাজ, যিনি আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলের বাইরে ছিলেন, তার বাদ পড়া নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। পাপন মিরাজকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি দলের সঙ্গে থাকতে চান কিনা। মিরাজ তখন জানতে চান, তাকে ১৫ জনের মূল দলে রাখা হচ্ছে কিনা। পাপন তাকে ১৭ জনের প্রস্তুতি স্কোয়াডে থাকতে বলেছিলেন, কিন্তু মিরাজ সেটি উপযুক্ত মনে করেননি এবং দলের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেননি।

মিরাজের মতে, ওই সময় দলের সঙ্গে না থাকলে তার ক্ষতি হতে পারে, তাই তিনি ব্যস্ত থাকেন ব্যাটিং ও বোলিংয়ের প্র্যাকটিসে। পরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্স করে সিরিজসেরা হন। চার মাসের বিরতির পর নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য মিরাজ কঠোর পরিশ্রম করেছেন, যার ফলস্বরূপ তার ফিটনেস এবং স্কিল উন্নতি হয়েছে।

সেই সময় বিসিবিপ্রধানের সঙ্গে কি কথা হয়েছিল, তা একটি গণমাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহেদি হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, ‘যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলাম না, তখন আমার সঙ্গে বিসিবি সভাপতির (নাজমুল হাসান পাপন) কথা হয়েছিল। তিনি জানতে চেয়েছিলেন— দলের সঙ্গে যেতে চাও কিনা? পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন মিরাজ— ১৫ জনের দলে আমাকে রাখা হচ্ছে কিনা? বোর্ডপ্রধান আমাকে বলেছিলেন ১৭ জনের দলে সদস্য হতে, দলের সঙ্গে থাকতে।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মিরাজকে সবশেষ দেখা গেছে গত বছরের জুলাইয়ে। সিলেটে সেই ম্যাচ ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। সেই সিরিজের পর এ বছরের বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন মিরাজ। বিপিএলে বরিশালকে প্রথম শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দিতে ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। মিরাজের মতে, ভালো খেলেও টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে যেভাবে বাদ পড়েছিলেন, সেটি তার কাছে যৌক্তিক নয়। তাই তিনি বিশ্বকাপে সফরসঙ্গী হতে চাননি।

কারণ দলের সঙ্গে থেকে অনুশীলন করার কোনো মানে দেখেননি এ অলরাউন্ডার। মিরাজ বলেন, ‘১৭ জনের সদস্য হয়ে যেতে চাইনি। কারণ আমার মনে হয়েছে— ওটা আমার জন্য ক্ষতি হবে।’

পাকিস্তান সিরিজের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মিরাজের সবশেষ ম্যাচ ছিল টেস্ট সংস্করণেই। সেই ম্যাচ চট্টগ্রামে এ বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। লংকা সিরিজ থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও দেখা যায়নি তাকে। চার মাসের বিরতির পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১০ উইকেট ও ১৫৫ রানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হয়েছেন সিরিজসেরা।

মাঝের চার মাস কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন, সে বিষয়ে মিরাজ বলেন, ‘জেদ ঠিক না। এই যে পাঁচটা মাস সুযোগ পেয়েছি, এ সময় নিজের ফিটনেস, স্কিল নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেটারই ফল পেয়েছি।’