ঢাকা, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

ড. ইউনূসের যে অনুরোধ ফেলতে পারলেন না মালয়েশিয়ার প্রাধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ অক্টোবর ০৫ ০৯:২৩:৫০
ড. ইউনূসের যে অনুরোধ ফেলতে পারলেন না মালয়েশিয়ার প্রাধানমন্ত্রী

মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ উপেক্ষা করলেও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধের প্রতি সাড়া দিয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তাঁর ঢাকা সফরের সময় ঘোষণা দেন যে, নির্ধারিত সময়ে যেতে না পারা বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৭ হাজার জনকে মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য নেওয়া হবে। এই সংখ্যা পরে ১৮ হাজারে উন্নীত হবে, যাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে সম্পন্ন করা হবে।

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রমবাজার সংক্রান্ত সমস্যা বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল। ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা হলেও, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছিল। বাংলাদেশ সরকার কর্মী প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করলেও বাস্তবে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ৪.৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত কর্মীদের কাছ থেকে আদায় করেছিল। এর ফলে অনেক কর্মী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি।

সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়া এই কর্মীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, যার কারণে বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার নিয়োগের সময় বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিল। কিন্তু এসব অনুরোধ মালয়েশিয়া সরকার গ্রহণ করেনি। পরে ড. ইউনূসের অনুরোধে মালয়েশিয়া সরকার পুনরায় এই কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট নিয়ে সমালোচনা চলতে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, অতীতের পদ্ধতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং এখন স্বচ্ছ ও ন্যায্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন হবে। তিনি আরও বলেন, যেসব কর্মী যেতে পারেনি, সেটা তাদের দোষ নয়, বরং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমস্যা ছিল, তাই তাদের পুনরায় পাঠানোর দায়িত্ব মালয়েশিয়া সরকারের।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশি কর্মী মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতিশ্রুত কাজ না পাওয়ার পাশাপাশি অনেকে অবৈধভাবে সেখানে থেকে শোষণের শিকার হয়েছে। আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিকদের শোষণ থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, কোনো শ্রমিককে আধুনিক দাসত্বের মতো অবস্থায় ফেলা হবে না এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে