ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজেদের দোষেই ভোটে বিএনপির এই ফল

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জানুয়ারি ০১ ০০:৪৫:০৪
নিজেদের দোষেই ভোটে বিএনপির এই ফল

বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

• জনগণ আ.লীগের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখেছে

• বিএনপি সারাদেশে মনোনয়নবাণিজ্য করেছে

• সরকারি ও বিরোধী দল সবার জন্য সমান সুযোগ

• নির্বাচনে জিতে বিরোধীদের ওপর নির্যাতন চালায় না আ.লীগ

দিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

গতকাল সোমবার বিকালে গণভবনে নির্বাচন দেখতে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি। বিবিসি, আল জাজিরাসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিক রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রীকে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়য়া, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশে আসা কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, সার্ক, ওআইসি, ভারত ও নেপালের পর্যবেক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন। পূর্বনির্ধারিত না হলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই পুরো অনুষ্ঠানটি চলে।

অনুষ্ঠানে এক বিদেশি সাংবাদিক বলেন, ক্ষমতাসীন জোট অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক শক্তিশালী। এবারের ভোটে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এমন মন্তব্য করে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা পর ঐক্যফ্রন্টের ফল প্রত্যাখ্যানের কথা উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব জানতে চান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের দেখতে হবে আমাদের বিরোধী পক্ষ কারা? বিরোধী জোটের মূল দল বিএনপি একজন সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে প্রতিষ্ঠিত। তিনি দেশে প্রথমে মার্শাল ল জারির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে তার পর দল গঠন করেন। ভোট কারচুপির মতো বিষয়গুলো প্রথমে তারাই পরিচিত করায় দেশবাসীকে। এখন ওই দলটির নেতৃত্বাধীন জোটে আছে যুদ্ধাপরাধীরা। আমাদের দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি আদালতের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর এখন নির্বাচন কমিশনে কোনো নিবন্ধনও নেই। এ দলটির ২৫ জনকে তারা এবার মনোনয়ন দিয়েছিল, আপনারা তার ফল দেখেছেন। আরেকটি বিষয় হলো- শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতেও অনেক সময় এটা হয়, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধী দল গঠন করার মতো আসনও জিততে পারে না। নির্বাচনে এটা মাঝে মধ্যে হয়। প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা কী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো কোনো নেতা তাদের মধ্যে দেখেছেন? না। আদতে তাদের মধ্যে কোনো নেতৃত্ব নেই। কারণ তাদের প্রধান নেতা দুর্নীতির দায়ে এখন জেলে। এর পর তারা আরেকজনকে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব দেয়। তিনি নিজেও সাজাপ্রাপ্ত আসামি। শুধু সাজাপ্রাপ্তই নয়, পলাতকও বটে। এখন যদি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা পলাতক আসামি হয়, সেই দলের কাছ থেকে আপনারা কী আশা করতে পারেন?

তিনি আরও বলেন, শুধু তা-ই নয়, তারা এক একটা আসনে ৪ থেকে ৫ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল প্রথমে। এর পর ওই আসনগুলোয় নিলামের মাধ্যমে তারা মনোনয়ন দিয়েছে। যে বেশি টাকা দিতে পেরেছে তারা তাকেই দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। এর ফলে যেটা ঘটেছে তা হলো, তাদের অনেক জেতার মতো প্রার্থী মনোনয়নই পাননি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি আসনের উদাহারণ দিয়ে বলেন, ঢাকার ধামরাইয়ে তাদের উইনেবল প্রার্থী ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি মনোনয়ন পাননি। একইভাবে নারায়ণগঞ্জে তৈমূর আলম, সিলেটে এনাম আহমেদ চৌধুরীসহ অনেকেই মনোনয়ন পাননি। তাদের বিপরীতে কারা মনোনয়ন পেয়েছেন, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যাদের কোনো নাম-পরিচয় নেই তারা। মনোনয়ন বাণিজ্য করা দল কীভাবে আসন পাবে বলে প্রত্যাশা করেন আপনারা?

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে মানুষ আরেকটি বিষয় দেখতে চায়, কোনো দল ক্ষমতায় গেলে সেই দলের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? কিন্তু তারা এমন কাউকে দেখাতে পারেননি। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন একজন আইনজীবী। কিন্তু তিনি জীবনে কখনো কোনো নির্বাচনে জেতেননি। ১৯৯৬ সালে ধানম-ি আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। মনে হয়, ৪-৫ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। যদিও তিনি এক সময় আমাদের দলে ছিলেন, কিন্তু তার কোনো অভিজ্ঞতা নেই দল চালানোর বিষয়ে বা দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে। এটা তাদের মূল সমস্যা।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আপনারা জানতে চাচ্ছেনÑ জনগণ কেন আমাদের ভোট দিয়েছে। আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, জনগণ কেন আমাদের ভোট দেবে না? অনেক বছর পর প্রথমবারের মতো আমাদের দেশের জনগণ জানতে পেরেছে সরকারের কাছ থেকে তারা উপকার পাচ্ছে। সরকার তাদের জন্য কাজ করছে। আমরা সব উন্নয়ন কর্মকা- জনগণের জন্যই করি, আমাদের নিজেদের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়। প্রতিটি সেক্টরে আমরা জনগণের জন্য কাজ করেছি, দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়েছি, জিডিপি ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়িয়েছি, মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছি; আমাদের উন্নয়ন কর্মকা- শুধু শহরে নয় গ্রাম পর্যায়ে তথা সারাদেশে হয়েছে। এর ফলে জনগণ আমাদের সরকারের ধারাবাহিকতা চেয়েছে। নারী ও তরুণ ভোটাররা আমাদের বেছে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, মানুষ কী চায়? মানুষ তার মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে চায়। মানুষ যখন বুঝতে পারে, কোনো একটা সরকারই পারে তাদের সব চাহিদা পূরণ করতে, তখন তারা অবশ্যই ওই সরকারকে ভোট দেয়। আমাদের এখানেও সেটা হয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, নিরীহ মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে, যানবাহনে আগুন দিয়েছে। মানুষ বুঝে গেছে, তারা আসলে রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তারা দেশের কোনো উন্নতিও করতে পারেনি। তাদের বিপরীতে গত ১০ বছরে আমাদের সরকার দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়িয়েছি, নি¤œ আয়ের মানুষদের সচ্ছল জীবন দিয়েছি। ফলে মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে বলেই জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে গণরায় দিয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা কেন ভোট পেয়েছিÑ এটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। কারণ আমরা প্রচুর কাজ করেছি যে জন্য মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে।

ভারতীয় এক সাংবাদিক জানতে চান, বিএনপির ৭টি আসন গণতন্ত্রের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ৭টি আসন তাদের নিজেদের দোষে। আমাদের কোনো দোষ নেই। তারা আসলে মনোনয়ন বাণিজ্যে ডুবে গিয়েছিল। আপনারা আসলে তাদের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করতে পারেন। পাশাপাশি জনগণ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। আমাদের প্রায়োরিটি যেটা হবে, চলমান প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখা। সর্বোচ্চ গুরুত্ব থাকবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে। বিএনপির প্রার্থীদের কেউ ভোট চাইতেও মাঠে নামেনি। কয়েকজন কেবল সক্রিয় ছিল, এসএমএস পাঠিয়ে ভোট চেয়েছে। এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়। কেন? তা হলে কী তারা নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এতে অংশ নিয়েছিল? এখন তো তা-ই মনে হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র করা তাদের পুরনো অভ্যাস।

তিনি এ সময় ভারতের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, কংগ্রেসের মতো পুরনো একটা দল এবার কয়টা আসন পেয়েছে আপনারা দেখেননি? সেখানে যে সমস্যাটা ছিল, ওরা কিন্তু ফোকাস করতে পারেনি তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবে? এটা কিন্তু সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশে। আমাদের দেশের মানুষ এটা জানতে চায়। এটাও একটা বড় কারণ। কংগ্রেসের রাজীব গান্ধী যেবার ক্ষমতায় এসেছিলেন বিজেপি সেবার মাত্র ২টি সিট পেয়েছিল, এখন বিজেপি ক্ষমতায়। তাই আমাদের দেশের অন্য দল যদি ঠিকমতো কাজ করে তা হলে তাদেরও ক্ষমতায় আসার সুযোগ রয়েছে। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয় করবেন কীভাবেÑ কমনওয়েলথের এক পর্যবেক্ষকের এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও আমাদের দেশে গণতন্ত্র খুব অল্প দিনের তার পরও আমরা গণতন্ত্র চর্চার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ আমার লুকানোর কিছুই নেই। আমি নিজের কাছে খুবই স্পষ্ট, আমি যা করি দেশের জন্যই করি। অনেকেই সারাক্ষণ আমার সমালোচনা করেন। আমি গায়ে মাখি না। কারণ আমার অবস্থান খুব স্পষ্ট, আমি যা করি দেশের জন্য করি। আমি ঠিক করছি না ভুল করছি দেশের জনগণ তার বিচার করবে। সমালোচকদের সমালোচনাটাও জনগণ বিচার করবে। আমাদের দেশে এমন মানুষও আছে যারা কখনো জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে পারবে না, তারা সব সময় চেষ্টা করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে। তারাই সারাক্ষণ সমালোচনা করে।

তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় যেটা বিশ্বাস করি, আমার দেশের জনগণ সবচেয়ে বড় বিচারক। ভোটের মাঠেই তারা তাদের সমর্থনের কথা জানান দেয়। যে কারণে আমরা এবারও এতগুলো আসন পেয়েছি। আমি মনে করি, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হতে পারে না। এজন্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব লিবারেলি আমার দেশ চালাচ্ছি, এখানে সবাই তাদের কথা বলতে পারে, নিজের মতো লিখতে পারে, সমালোচনা করতে পারে। আমি যা করি দেশের জনগণের ভালোর জন্যই করি। আমি সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। দেশের জনগণের ভালোর জন্য আমরা সর্বোচ্চটাই করছি বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিরোধী দলের প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের আচরণ কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সব সময় এটা মনে করি, আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের নয়, দেশের সব জনগণের প্রধানমন্ত্রী। আমার দেশের উন্নয়ন সবার জন্য, দেশের সব মানুষ ও জাতির জন্য, কোনো দলের জন্য নয়। যে কারণে আমরা এত ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছি।

সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ভোট শেষ হয়েছে ২৪ ঘণ্টা হতে চলেছে, অথচ সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো কিছুই ঘটায়নি। অথচ এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে আমরা কী দেখেছিÑ বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে ধরে খুন, ধর্ষণ, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের মতো ঘটনা ঘটেছে। ৬ বছরের শিশুও তাদের ধর্ষণ থেকে রেহাই পায়নি। এখানেই থামেনি, অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের, এমপিদের খুন করেছে। আমাদের এমন ভয়াল অভিজ্ঞতা থাকলেও আমরা এমনটা কখনো করিনি। আমাদের সময়ে সরকারি ও বিরোধী দল সবাই ফ্রি। সবারই সমান অধিকার রয়েছে। সব দলেরই নিজ নিজ দলীয় কার্যক্রম চালানোর স্বাধীনতা আছে। তবে রাজনৈতিক কর্মকা-ের নামে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা- বরদাশত করা হবে না।

ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে রাখা হয়েছিল এমন একটি ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছেÑ বিবিসির এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ওটা এই নির্বাচনের ব্যালটের ছবি নয়। চট্টগ্রামে মেয়র নির্বাচনের ফল গণনার পুরনো ছবি ওটা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় কোনো অভিযোগ পেলেই নির্বাচন কমিশন ওইসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে। ওইসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পরে হবে। কারণ আমরা কখনই এমনটি চাইনি।

নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে আল জাজিরার এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার ছিল। কমিশন তাদের বিচার বিবেচনা করে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দিয়েছিল।

এক পর্যবেক্ষকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে বিচার বিশ্লেষণ করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ফল নির্বাচনের এক মাস পর ঘোষণা করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মতামত জানতে চান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে