ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাহায্য করতে গোপন কক্ষে সমর্থক-এজেন্ট

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ ফেব্রুয়ারি ০১ ১৫:২০:২৯
সাহায্য করতে গোপন কক্ষে সমর্থক-এজেন্ট

পাশাপাশি বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্ট ও সমর্থকরাও প্রবেশ করছেন। সেখানে গিয়ে তারা ভোটারের পরিবর্তে নিজের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন।

তেজগাঁওয়ের সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়, তেজগাঁও কলেজ ও রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক নিজে এ রকম একটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীও জাগো নিউজকে এমনটি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে প্রার্থীর এজেন্ট ও সমর্থকদের গোপন কক্ষে যেতে বাধা দিতে তারা অপারগ ছিলেন বলে জানান।

তেজগাঁওয়ের সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮১৮ নম্বর কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথের গোপন কক্ষে একজনের ভোট আরেকজনকে দিতে দেখা গেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এ দৃশ্য দেখা যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একজন তরুণ ও একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি ৮১৮ নম্বর কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৩ নম্বর বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, আমরা প্রবেশ করতে দিতে চাইনি। ওই ব্যক্তি জোর করে প্রবেশ করেছেন।

সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট জানান, তিনি একাই সাতটি ভোট দিয়েছেন।

তেজগাঁও কলেজের ৮৭৯ নম্বর কেন্দ্রের তিন নম্বর বুথের ভোটকেন্দ্রে গিয়াস নামে একজনকে ভোটারের সঙ্গে গোপন কক্ষে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হালিমা আক্তার জানান, আমি শুরু থেকে কাজে মনোযোগী ছিলাম। ওই ব্যক্তি জোর করে ঢুকে গেছে ভোটারের সঙ্গে।

তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রের এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পর্যবেক্ষক সংগঠন মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘তেজগাঁও কলেজে ভোটারের সঙ্গে গোপন কক্ষে গিয়াস নামে এক ব্যক্তি অবস্থান করছিলেন। তিনি বের হলে আমরা তাকে প্রশ্ন করি, আপনি কে, এখানে কী করছিলেন? তখন তিনি বলেন, আমি তাকে সাহায্য করতে গোপন কক্ষে গিয়েছিলাম। আপনি গোপন কক্ষে যেতে পারেন কি-না, এমন প্রশ্ন করলে সে চলে যায়।’

গোপন কক্ষে ঢুকে ভোটারের ভোট অন্য ব্যক্তি দিয়ে দেয়ার আরেকটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান। রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে গোলাম রহমান বলেন, ‘আলফ্রেড রায় নামে এক ভোটার ভোট দিতে গোপন কক্ষে যান। তখন আরেক ব্যক্তি গোপন কক্ষে প্রবেশ করে জোর করে তার ভোট দিয়ে দেন। আমরা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করি, আপনি কেন ভোট দিলেন? ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি ভোট দিতে সাহায্য করেছেন। এ বলে তিনিও দ্রুত বেরিয়ে যান। গোপন কক্ষ থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে না পারায় আলফ্রেড রায় কান্নাকাটি করেন। তার সিরিয়াল নম্বর ৪৪১৪।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান, গোপন কক্ষে ভোটার ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের অধিকার নেই। যদি এ রকম ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে ভোটারকে আমাকে ফোন দিতে বলেন।’ সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে