টিম ম্যানেজমেন্টের এই রকম সিদ্ধান্ত নেয়া নিয়ে যা বললেন সাকিব

রাজার বেশে ফিরেছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিন নম্বরে নেমে বিশ্বকাপের মাঠ মাতিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের বোলারদের ইচ্ছেমত পিটিয়ে ৮ ম্যাচে সাকিব আল হাসান করেছিলেন ৬০৬ রান। যার মধ্যে ছিল দুটি সেঞ্চুরি আর ৫টি হাফসেঞ্চুরি।

এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর সেই তিন নম্বর পজিশনটি হয়েছে হাতছাড়া। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর সাকিবকে তিন থেকে চারে নামিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছেতেই হয়েছে।

হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আর অধিনায়ক তামিম ইকবাল দুজনই ভার্চুয়াল প্রেস মিটে জানিয়েছেন, তারা ভেবেচিন্তেই সাকিবকে একটু নিচে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে করে সাকিব একটু সময় নিয়ে রয়ে সয়ে এবং পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে থিতু হয়ে খেলতে পারবেন। অধিনায়ক তামিম সিরিজ শুরুর ২৪ ঘন্টা আগে জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিবের সাথে তার কথা হয়েছে এবং সাকিব টিম ম্যানেজমেন্টের ওই সিদ্ধান্ত মেনেও নিয়েছেন।

আসলে টিম ম্যানেজমেন্টর সিদ্ধান্ত সাকিব কিভাবে নিয়েছেন? তার নিজের কথা কি? তা জানতে রাজ্যের কৌতুহল ছিল সবার। আজ (বুধবার) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শেষে সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সাকিব। জানিয়ে দিয়েছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে সম্মান জানাতে চান।

তিন থেকে চারে নামিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে একমত কি না? এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘দেখুন, কোচ, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে; সেটা খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে রেসপেক্ট (সম্মান) করতেই হবে। আমি তার সঙ্গে একমত কি না, সেটা বড় কথা না। সব সময় আমি দলের জন্য খেলার চেষ্টা করি। আমার কাছে ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দলগত অর্জন সবসময়ই বড় মনে হয়।’

পরের অংশে সাকিব খোলাসা করলেন নিজের মতামতও। পজিশন পরিবর্তন হলেও তাতে বড় কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি। সাকিব বলেন, ‘তিন-চার নম্বরের মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য নেই।’

এদিকে অধিনায়ক তামিম ইকবালের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন সাকিব। কেমন ছিল প্রথম ম্যাচে তামিমের দল পরিচালনা, বোলার ব্যবহার ও ফিল্ডিং সেটিং? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘কাউকে এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না। আরও সময় নিয়ে অন্তত এক বছর পর মূল্যায়ন করা উচিত।’