এখনোই ভাবতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে, না হলে হতে পারে বড় বিপদ

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে একটা সার্কাসে পরিনত করেছে হোড কোচ চন্ডিকা হাথুরু সিংহে। তিনি আসার পর থেকে বাংলাদেশ দলে বেশ কিছু পরিবর্তন আমরা দেখেছি তার মধ্যে অন্যতম হলো সাজানো গোছানো একটা দলকে শেষ করে দেয়া। বাংলাদেশ দলকে নিয়ে তিনি রীতি মত ছেলে খেলা করছেন। নেই কোনো পূর্ব পরিকল্পনা।

চলতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লঙ্কান বোলারদের নিয়ে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না বললেই চলে। যদি থাকতো তাহলে নুয়ান থিসারার বলে এভাব বাংলাদেশ উইকেট হারাতো না। তার বল করার ধরন আর পাথিরানার বল করার ধরন প্রায় সেইম। কিন্তু নুয়ার থিসারা একটু খাটে তাই তার বল গুলো উঠছে কম। আর তাতেই ভুল করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

এখানে যদি থাকে নিয়ে এ্যানালিস্টরা বা কোচরা কোনো সেশন করতো তাহলে এই সমস্যাতে পড়তো না বাংলাদেশ। হয়তো সিরিজটা জিততে পারতো। হাথুরু শুধু আছে তার ইচ্ছেকে সর্বসেবা করতে ব্যস্ত। তাছাড়া বিপিএলে ওয়ান ডাউনে ভালো খেলা তৌহদ হৃদয়কে খেলানো হচ্ছে চারে। এইটা কোন ধরনে ডিশিসন বোদ গম্য হয় না।

তাছাড়া বিশ্বকাপের আগে চারে দারুন খেলতে থাকা তৌহদ হৃদয়কে বিশ্বকাপে খেলানো হলো পাঁচ ও ছয়ে। শেষ পর্যন্ত একাদশে থেকে বাদ পড়ে গেল। তার ব্যাটিং পারফরমেন্স হয়ে গেলে খারাপ। সেই তৌহদ হৃদয় সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে খেললেন দারুন। আর একটু হলে তো টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হয়ে গিয়েছিলেন।

তামিম যদি ম্যাচ জেতানো অতিমানবীয় ক্রিকেট না খেলতো তাহলে হয়তে ভিন্ন কিছু হতো। আর সেই ব্যাটারকে খেলানো হচ্ছে চারে বা পাঁচে। তার কমপোর্ট জোন থেকে বের হয়ে কতটা সে সফল হতে পারবে সেইটা এখন কথা। আবার যারা পারফরমেন্স করছেন না তাদেরও রাখা হচ্ছে দলে। যেমন মুস্তাফিজ না বিপিএলে ভালো কিছু করতে পেরেছেন না শ্রীলঙ্কার সিরিজে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজ যদি আর একটা চার কম খেতেন তাহলো হয়তো ম্যাচ আমরা জিতেই যেতাম। চলতি টি-২০ সিরিজে প্রায় ১২ ইকোনোমিতে বল করেছেন তিনি। যেটাই মোটেই কাম্য নয়।

অথচো বিপিএলে ভালো খেলেই বাইরে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাইফদ্দিনের মত ক্রিকেটাররা। মানে হলো একটাই হাথুরু যা বলবেই তাই ঠিক বাকি সব বাদ। তার কথা হলো সবার ওপর আমি সত্য তাহার ওপর নাই।