শেখ হাসিনাকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করে সারা দেশে নতুন করে আলোচনার ঝড় তুললেন নুরুল হক নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুরে এক আলোচনাসভায় শেখ হাসিনাকে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "জাতীয় সরকার ছাড়া জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে না।" এ মন্তব্যটি করেন তিনি, যখন তিনি গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুস্থতা কামনা এবং শহীদদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখছিলেন।

নুরুল হক নুর তার বক্তব্যে বলেন, "ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসন কোনোভাবেই করা যাবে না। শেখ হাসিনা ভারতের দাসী এবং আওয়ামী লীগ ছিল তাদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।" এ মন্তব্যটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

ভারতীয় মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও নুরুল হক নুর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "বিপ্লবকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ভারতীয় মিডিয়া নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ভারতের ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।" তার এই মন্তব্যে ভারতের প্রতি সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এছাড়া, নুরুল হক নুর জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, "জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে এই সরকার বেশি দিন টিকতে পারবে না। জাতীয় সরকার গঠন করে ৬ মাসের জন্য সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে হবে।" তিনি আরো বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবে, এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও ভারতের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে নুরুল হক নুর একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো আপোস নেই। কেউ কেউ এ বিষয়ে দ্বিধা করছে, কিন্তু আমরা স্পষ্ট। নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি, দখলদারি চলবে না।" তাঁর মতে, "আওয়ামী লীগের মতো এখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ছে। নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।"

নুরুল হক নুর দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "জাতীয় সরকারই পারে দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে।" তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।