চলছে এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫: ফেল থেকে পাস হতে যেভাবে আবেদন করবেন!

সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে যারা আশানুরূপ ফল পাননি, এমনকি অপ্রত্যাশিতভাবে ফেল করেছেন, তাদের জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জ বা খাতা পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়াটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। অনেক সময় অসাবধানতাবশত পরীক্ষকের ভুলে বা নম্বরের যোগফলে তারতম্যের কারণে ফলাফল ভুল আসতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫ হতে পারে আপনার ফেল থেকে পাস হওয়ার একটি শেষ সুযোগ।

বর্তমানে চলছে এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জের আবেদন প্রক্রিয়া। আপনি যদি কোনো বিষয়ে ফেল করে থাকেন এবং মনে করেন আপনার ফল আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল, তবে দেরি না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করুন। আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে ঘরে বসেই এই আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫ এর বিস্তারিত আবেদন পদ্ধতি, যা আপনাকে ফেল থেকে পাসে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে:

আবেদনের সময়সীমা: হাতে আছে কতদিন?

এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫ এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে ১৭ অক্টোবর ২০২৫ থেকে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হলো ২৩ অক্টোবর ২০২৫। এই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই অনলাইনে তাদের আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। মনে রাখবেন, সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

আবেদন ফি: প্রতিটি পত্রের জন্য কত?

প্রত্যেকটি পত্রের জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১৫০ টাকা। আপনি যে বিষয়গুলোতে ফেল করেছেন বা ফলাফল উন্নত করতে চান, সেই বিষয়গুলো অনুযায়ী মোট ফি পরিশোধ করতে হবে।

এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫: ফেল থেকে পাস হওয়ার সহজ আবেদন পদ্ধতি

এবারের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক এবং টেলিটক সিমের কোনো প্রয়োজন নেই। নিচে ধাপে ধাপে আবেদন পদ্ধতি দেওয়া হলো:

১. অফিশিয়াল পোর্টালে প্রবেশ ও তথ্য পূরণ:

প্রথমে এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জের নির্ধারিত অনলাইন পোর্টালে ভিজিট করুন: https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd

প্রদত্ত স্থানে আপনার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আপনার শিক্ষা বোর্ড নির্ভুলভাবে পূরণ করুন।

"Submit" বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।

২. মোবাইল নম্বর ও বিষয় নির্বাচন:

একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিন। এই নম্বরেই আপনার পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।

স্ক্রিনে আপনার বিষয়ভিত্তিক ফলাফল প্রদর্শিত হবে। যে বিষয়গুলোতে আপনি ফেল করেছেন বা ফলাফল পরিবর্তন করতে চান, সেই বিষয়গুলো অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নির্বাচন করুন। আপনি চাইলে এক বা একাধিক বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন।

বিষয় নির্বাচন শেষ হলে "ফি প্রদান করুন" বাটনে ক্লিক করুন।

৩. ফি পরিশোধ ও আবেদন নিশ্চিতকরণ:

এই ধাপে আপনাকে আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট অথবা টেলিটক মোবাইল সিমের মাধ্যমে প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা হারে মোট ফি পরিশোধ করুন। আপনার পছন্দের পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন করে নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

ফি সফলভাবে পরিশোধ করার পর, অবশ্যই আবেদনের পোর্টালে ফিরে এসে ‘জমা দিন’ (Submit) বাটনে ক্লিক করে আপনার আবেদনটি চূড়ান্ত করুন। এই ধাপটি সম্পন্ন না করলে আপনার আবেদনটি গৃহীত হবে না এবং আপনার চ্যালেঞ্জ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী যা মনে রাখা জরুরি:

ফি ফেরত নেই: একবার আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই তা ফেরত দেওয়া হবে না।

সময়সীমার বাধ্যবাধকতা: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ এর মধ্যে অবশ্যই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সময়সীমা অতিক্রম করলে আবেদন করা সম্ভব হবে না।

অতিরিক্ত বিষয় সংযোজন: একবার আবেদন জমা দেওয়ার পরও যদি আপনি অন্য কোনো বিষয়ে আবেদন করতে চান, তবে নতুন করে সম্পূর্ণ তথ্য পূরণ না করে, পূর্বের পদ্ধতি অনুসরণ করে নতুন বিষয় যোগ করে ফি পরিশোধ করা যাবে।

ফলাফল প্রকাশ: সাধারণত, আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়।

যারা অপ্রত্যাশিত ফলাফলের কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন, তাদের জন্য এই বোর্ড চ্যালেঞ্জ একটি আশার আলো। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সময় মতো আবেদন করুন। আপনার এই চ্যালেঞ্জ সফল হোক এবং আপনি কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে সক্ষম হন, এই কামনাই রইল।

আবেদন করতে এখানক্লিক করুন

আমিনুল ইসলাম/