ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

৮ মাস বাড়ল সময়, নারী পরিচালক খুঁজে হিমশিম কোম্পানিগুলো!

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১৬:১০:৩৮
৮ মাস বাড়ল সময়, নারী পরিচালক খুঁজে হিমশিম কোম্পানিগুলো!

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বোর্ডে একজন নারী স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার নিয়ম থাকলেও, বেশিরভাগ কোম্পানিই সময়মতো সেই নির্দেশনা মানতে পারেনি। অবশেষে, কোম্পানিগুলোর অনুরোধ ও বাস্তবতা বিবেচনায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সময়সীমা বাড়িয়ে দিল আরও আট মাস।

কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএসইসির দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে অন্তত একজন নারী স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক। এই নির্দেশনার শেষ সময়সীমা ছিল ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল। কিন্তু সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও বহু কোম্পানি সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়।

অবশেষে, গত ২৯ জুন বিএসইসি সিদ্ধান্ত নেয়—সময়সীমা বাড়িয়ে তা ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হলো। অর্থাৎ কোম্পানিগুলোর হাতে এখন আরও প্রায় পাঁচ মাস সময় রয়েছে নারী পরিচালক নিয়োগ সম্পন্ন করতে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি)-এর অনুরোধ। সংগঠনটি জানায়, যোগ্য নারী স্বতন্ত্র পরিচালক খুঁজে পাওয়া এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, একজন নারী সর্বোচ্চ পাঁচটি কোম্পানির বোর্ডে পরিচালক হতে পারেন—যা একটি সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে।

বিএপিএলসি তাদের এক চিঠিতে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে জানায়, “অনেক কোম্পানি এখনো একজন স্বতন্ত্র পরিচালক দিয়েই কার্যকরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। নতুন নিয়মে বাধ্যতামূলকভাবে একজন নারীসহ কমপক্ষে দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করতে হবে—যা অতিরিক্ত ব্যয় এবং কাঠামোগত জটিলতা তৈরি করবে।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, “যদিও এই বিধানটি লিঙ্গ বৈচিত্র্য ও কর্পোরেট গভর্ন্যান্স উন্নয়নের জন্য সময়োপযোগী, কিন্তু যোগ্য নারী পরিচালকের সহজলভ্যতা না থাকায় কোম্পানিগুলো বাস্তব সংকটে পড়েছে।”

অন্যদিকে বিএসইসি বলছে, তারা ব্যবসার বাস্তবতা এবং নীতিগত লক্ষ্য—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতেই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লিঙ্গ বৈচিত্র্য বনাম বাস্তবতা: কোথায় দাঁড়িয়ে কোম্পানিগুলো?

কর্পোরেট বোর্ডে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে একটি প্রগতিশীল পদক্ষেপ। তবে বাস্তবে সেই নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি না হলে বা যোগ্য নারী পরিচালকের যথাযথ তালিকা না থাকলে—এই ভালো উদ্যোগও বাধার মুখে পড়তে পারে।

এখন দেখার বিষয়, সময় বাড়ানোর পর কোম্পানিগুলো কীভাবে তাদের পর্ষদ গঠন করে এবং নারী নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তিকে কতটা গুরুত্ব দেয়। কারণ, সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু নীতিগত লক্ষ্যে ছাড় দেওয়া হয়নি।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ