ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২

দুদকে চিঠি পাঠালো বিএসইসি, সাকিব-হিরুর ব্যাংক হিসাব স্থগিত চেয়ে আবেদন

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ০৯:২৫:১৯
দুদকে চিঠি পাঠালো বিএসইসি, সাকিব-হিরুর ব্যাংক হিসাব স্থগিত চেয়ে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি-এর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোম্পানির সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তি ও চারটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব লেনদেন স্থগিত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-কে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, তদন্তে দেখা গেছে যে উল্লিখিত ব্যক্তিরা মিথ্যা তথ্য প্রদান, জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে উল্লেখযোগ্য শেয়ারের মালিকানা গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত। ব্যাংক হিসাব স্থগিত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন:

আমিনুল ইসলাম শিকদার (চেয়ারম্যান)

মুন্সী সফি উদ্দিন (এমডি)

মো. হুমায়ুন কবীর (সাবেক পরিচালক)

মোহাম্মদ খায়রুল বাশার (পরিচালক-অব.)

তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তারা হলো:

লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (মুন্সী সফি উদ্দিন ও মো. হুমায়ুন কবীরের মালিকানাধীন)

মোনার্ক মার্ট লিমিটেড (সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন)

মোনার্ক এক্সপ্রেস লিমিটেড (সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন)

ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেড (আমিনুল ইসলাম শিকদার ও মো. খায়রুল বাশারের মালিকানাধীন)

তদন্তে দেখা গেছে, সাকিব আল হাসান ও বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরু সহ তাদের সহযোগীরা ৪৮.১৭৫ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করেছেন। এছাড়া কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকদের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য অংশও তাদের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছে।

লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ হলো হিরুর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, জাভেদ এ মতিন সাকিব ও হিরুর মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজ মোনার্ক হোল্ডিংস-এর অংশীদার।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বাতিল করার পর, ওটিসি-র আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫০%, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২.৫৪% এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৪৬% শেয়ার রয়েছে।

বিএসইসির এই পদক্ষেপকে কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রক অনুসন্ধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ