ঢাকা, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

আরএসআই বিপদসীমায় ১১ শেয়ার: ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক থাকুন!

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ০৮:১০:৩৮
আরএসআই বিপদসীমায় ১১ শেয়ার: ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক থাকুন!

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল টুল রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (আরএসআই) অনুযায়ী, দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে ১১টি কোম্পানির শেয়ার 'বিপদসীমা' বা 'ওভারবট জোন'-এ প্রবেশ করেছে। এর অর্থ হলো, এসব শেয়ারের মূল্য বর্তমানে তাদের স্বাভাবিক গতির চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে, যা নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য উচ্চ ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। লঙ্কাবাংলা এবং আমারস্টকের বিশ্লেষণ পোর্টাল থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো:

ডিএসই-তে তালিকাভুক্ত যে ১১টি কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে আরএসআই সূচকে ৭০-এর উপরে অবস্থান করছে, সেগুলো হলো— এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, বিডি ফাইন্যান্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এনভয় টেক্সটাইল, ফাইন ফুডস, জিকিউ বলপেন, সাপোর্ট, খান ব্রাদার্স, টেকনো ড্রাগ, শ্যামপুর সুগার এবং ইউসিবি ব্যাংক।

এক নজরে ঝুঁকিতে থাকা শেয়ারের আরএসআই ও দর:

কোম্পানি নামআরএসআইবর্তমান শেয়ারদর (টাকা)
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ৭৪.৯২ ৬২.০০
বিডি ফাইন্যান্স ৭১.১৮ ১১.৭০
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ৮২.৫৮ ৬৬.০০
এনভয় টেক্সটাইল ৭৬.৬৫ ৫৮.৩০
ফাইন ফুডস ৭০.২৬ ৩০১.২০
জিকিউ বলপেন ৮০.১৯ ৪৮৫.৮০
সাপোর্ট ৮১.৯১ ৩৭.৬০
খান ব্রাদার্স ৭৯.০৪ ১৬৩.৩০
টেকনো ড্রাগ ৭১.২৩ ৩৮.৭০
শ্যামপুর সুগার ৭১.১৫ ২০৩.০০
ইউসিবি ব্যাংক ৭০.৮৬ ১০.৫০

আরএসআই কী বোঝায়?

আরএসআই হলো একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা ০ থেকে ১০০ এর মধ্যে ওঠানামা করে এবং শেয়ারের মূল্য পরিবর্তনের গতি ও শক্তি পরিমাপ করে।

৭০-এর উপরে আরএসআই: এটি নির্দেশ করে যে শেয়ারটি 'অতিরিক্ত কেনা' হয়েছে (ওভারবট), অর্থাৎ এর দাম দ্রুত এবং অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেছে। এটি সাধারণত একটি সম্ভাব্য বিক্রয় সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ বাজার সাধারণত একটি সমন্বয়ের দিকে যায়।

৩০-এর নিচে আরএসআই: এটি নির্দেশ করে যে শেয়ারটি 'অতিরিক্ত বিক্রি' হয়েছে (ওভারসোল্ড), অর্থাৎ এর দাম অতিরিক্ত কমে গেছে। এটি সম্ভাব্য ক্রয়ের সংকেত হতে পারে।

৩০ থেকে ৭০ এর মধ্যে আরএসআই: এটি একটি স্বাভাবিক বা নিরপেক্ষ বাজার পরিস্থিতি নির্দেশ করে।

বাজার বিশ্লেষকদের সতর্কতা:

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরএসআই একটি স্বল্পমেয়াদি প্রবণতা নির্দেশ করে। উল্লিখিত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে টানা মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, যার ফলে বর্তমানে নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য এগুলোতে প্রবেশ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় বাজার সংশোধন হতে পারে এবং শেয়ারের মূল্য হ্রাস পেতে পারে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্দেশনা:

বর্তমান বিনিয়োগকারী: যারা এই শেয়ারগুলোতে আগে থেকেই বিনিয়োগ করেছেন, তারা আংশিকভাবে মুনাফা তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।

নতুন বিনিয়োগকারী: এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে সবসময় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ