ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

সেমিফাইনালের মঞ্চে যে ৩ কারণে জয় পেয়েছে পাকিস্তান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ নভেম্বর ১০ ১২:৩১:০৮
সেমিফাইনালের মঞ্চে যে ৩ কারণে জয় পেয়েছে পাকিস্তান

এই বছর বিশ্বকাপে আমরা যেমন অঘটনের ম্যাচ দেখেছি ঠিক তেমনি এমন বহু ম্যাচ দেখেছি যেখানে শেষ বল অব্ধি লড়াই চালিয়ে একটি দলকে গুরুত্বপূণ ম্যাচ জিতে পয়েন্টস আদায় করতে হয়েছে। এই বছর বিশ্বকাপের শুরুতেই ২বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে পারেনি,আবার গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দল সেমিফাইনালের মঞ্চে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

অপরদিকে নেদারল্যান্ডসের মতো অনামী দল এই বছর দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়ে নিজেদের সাথে তাদেরকেও গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই বছর বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা প্রতিটা ক্রিকেট প্রেমিকে প্রত্যেক মুহূর্তে রোমাঞ্চিত এবং শিহরিত করে তুলেছে।

গতকালকেই সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সম্পন্ন হয়েছে এই বছর t20 বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তান দল একে ওপরের মুখোমুখি হয়েছিল এবং শেষ অব্ধি পাকিস্তান দল শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় রান করে বিজয়ী হয়। এই বছর বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলকে কালো ঘোড়া হিসাবে ধরা হচ্ছিলো কারণ তারা গ্রুপ পর্বে অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখিয়ে সেমিফাইনালের মঞ্চে প্রবেশ করেছিল,অপরদিকে পাকিস্তান দল একটা সময় বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকেই ছিটকে যাবার রাস্তায় ছিল।

কিন্তু পড়বে নিজেদের অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখিয়ে তারা নিজেদের গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় এবং এই সেমিফাইনালে তারা নিউজিল্যান্ড দলকে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। আমরা এখানে এমন ৩টি কারণ নিয়ে আলোচনা করবো যার জন্য পাকিস্তান দল সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড দলকে হারাতে সক্ষম হয়েছে।

পাক বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং

পাকিস্তান পেস বোলিং বিভাগ বিশ্বে অন্যতম পেস বোলিং বিভাগদের মধ্যে যথেষ্ট শক্তিশালী। এছাড়াও এই বছর পাকিস্তান দলকে সেমিফাইনালের মঞ্চে পৌঁছে দেবার অন্যতম কৃতিত্ব হল পাকিস্তান বোলাররা।

সেমিফাইনালের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং দলের সামনে পাকিস্তান বোলাররা আন্তসমর্পন না করে সঠিক লাইনে বোলিং করে যেমন তাদের বড়ো রান করার হাত থেকে আটকেছিলো ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং পার্টনারশীপ ভেঙে দিয়ে তাদেরকে সিডনির পিচে ঠিক ভাবে দাঁড়াতে দেয়নি। তাই এটা বলা যেতেই পারে পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং তাদেরকে বিশ্বকাপের সেমী ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করছে।

ওপেনিং ব্যাটিং জুটি

এই মুহূর্তে ক্রিকেটের সব থেকে ছোট ফরম্যাটে পাকিস্তানের বাবর আজম এবং রিজওয়ান জুটি বিশ্বের যেকোনো দলের কাছে অন্যতম চিন্তার কারণ। এছাড়াও যদি এই ওপেনিং জুটি দীর্ঘ্য সময় ধরে উইকেটে জমে যায় তাহলে তারা বিশ্বের যেকোনো বোলারদের তছনছ করে দেবার ক্ষমতা রাখেন।

এই বছর বিশ্বকাপের শুরু থেকে এই দুই ব্যাটসম্যান সেই ভাবে একত্রে কোনো বড়ো পার্টনারশীপ গড়ে তুলতে পারছিলোনা যার ফলে দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের কাঁধে সেই দায়িত্ব এসে পড়ছিলো কিন্তু সেমিফাইনালের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ বোলিং এট্যাক সামলে এই দুই জুটি রান তারা করতে নেমে শতরানের পার্টনারশীপ তৈরি করে। এই পার্টনারশিপের পর পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে পৌঁছানো অনেকটাই সহজ হয়ে গেছিলো বলে মনে করা যায়।

হার না মানা মানসিকতা

এই বছর পাকিস্তান দলের বিশ্বকাপে ফাইনালের মঞ্চে প্রবেশ করার অন্যতম কারণ হলো তাদের হার না মানা মানসিকতা। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান দল একটা সময় ম্যাচ হেরে এবং ড্র করে বেশ চাপের মুখে পড়ে গেছিলো এবং সেই সময় মনে করা যাচ্ছিলো হয়তো পাকিস্তান এই বছর বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে চলেছে। কিন্তু তাদের অদ্যম জেদ এবং মানসিকতার দ্বারা তারা গ্রুপ পর্বের সমস্ত বাধা কাটিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছায় এবং সেখানে তারা এই বছরের অন্যতম শক্তিশালী দল নিউজিল্যান্ডকে সমস্ত বিভাগে পরাস্ত করে ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ