ঢাকা, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

নতুন বেতন কাঠামোতে নতুন বড় চমক: গ্রেড কম, বেতন বেশি!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৮:২৫:২৬
নতুন বেতন কাঠামোতে নতুন বড় চমক: গ্রেড কম, বেতন বেশি!

ঢাকা: সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন এবং যুগান্তকারী বেতন কাঠামো আসছে, যেখানে গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে বেতন বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় বেতন কমিশন ইতোমধ্যেই এই নতুন স্কেল নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেবে। এই নতুন কাঠামোতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত কমিয়ে বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিম্নগ্রেডের কর্মীদের বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বর্তমানে কমিশন সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে মতামত নিচ্ছে। জানতে চাওয়া হচ্ছে, নতুন বেতন কাঠামো কেমন হওয়া উচিত এবং বর্তমান কাঠামোর অসঙ্গতিগুলো কী। কমিশনের একজন সদস্য জানিয়েছেন যে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত কমিয়ে বৈষম্য দূর করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এই লক্ষ্যেই বিদ্যমান ২০টি গ্রেডকে পুনর্বিন্যাস করে গ্রেড সংখ্যা কমানোর চিন্তা চলছে। চারটি ক্যাটাগরিতে মতামত নেওয়ার পর কমিশন বিভিন্ন কমিটি ও সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করবে এবং এরপর গ্রেড পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করবে।

২০১৫ সালের পে স্কেল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, কিছু গ্রেডের মধ্যে বেতনের ব্যবধান অত্যন্ত কম। উদাহরণস্বরূপ, ৮ম (২২,০০০ টাকা) ও ৯ম গ্রেডে (২৩,০০০ টাকা) বেতনের ব্যবধান মাত্র ১,০০০ টাকা। একইভাবে, ২০তম ও ১৯তম গ্রেডের মধ্যে ২৫০ টাকা, ১৭তম (৯,০০০ টাকা) ও ১৮তম (৮,৮০০ টাকা) গ্রেডে ২০০ টাকা, এবং ১২তম ও ১৩তম গ্রেডে মাত্র ৩০০ টাকার ব্যবধান রয়েছে। এই কম ব্যবধানের গ্রেডগুলো একীভূত করে গ্রেড সংখ্যা কমানোর আলোচনা চলছে, যা প্রশাসনিক জটিলতা কমাতে সাহায্য করবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে নিম্নগ্রেডের কর্মীদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই, বেতনের ব্যবধান না কমালে তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে। তারা ভারতীয় কাঠামো অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন, যেখানে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন তিনটি ক্যাটাগরিতে—গ্রুপ-সি, গ্রুপ-বি ও গ্রুপ-এ—বিভক্ত, এবং মোট ১৮টি লেভেলে বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়। লেভেল-১ সর্বনিম্ন এবং লেভেল-১৮ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশও এমন কাঠামো অনুসরণ করলে বেতন বৈষম্য কমানো এবং প্রশাসনিক কাঠামো সহজীকরণ সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এই নতুন বেতন কাঠামো সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ