মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরার আলোচিত আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বোনের বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বারবার ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—আসল সত্যটি কী? সত্য গোপনের চেষ্টা, নাকি কোনো মানসিক চাপের কারণে বিভ্রান্তি?

বক্তব্যে অসঙ্গতি: রহস্যের জন্ম

একাধিকবার গণমাধ্যমে আছিয়ার বোনের বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে, যেখানে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে অসঙ্গতি। কখনো তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি ওয়াশরুমে ছিলেন, আবার কখনো দাবি করেছেন, আছিয়াকে ঘর থেকে টেনে বের করা হয়েছিল। কিছু সময় পরে আবার বলেন, তিনি তখন গভীর ঘুমে ছিলেন। এমন পরস্পরবিরোধী তথ্য কি শুধুই বিভ্রান্তি, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো অজানা সত্য?

এমনকি ঘটনার সময় নিয়েও রয়েছে ভিন্নতা—সেহরির পর নাকি রাত আড়াইটায়? একই ব্যক্তির মুখে এত বৈপরীত্য কেন? এতে কি কোনো প্রভাব কাজ করছে? সত্যের অনুসন্ধানে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।

সেদিন রাতে কী ঘটেছিল?

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আছিয়ার বোন জানান, রাত আটটার দিকে তিনি, তার স্বামী ও তার বোন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তারপর কী ঘটেছিল?

তিনি দাবি করেন, তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন হলো, তিনি কবে, কীভাবে বুঝলেন যে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল? যদি তিনি কিছু না জানতেন, তাহলে এখন এত তথ্য পেলেন কোথা থেকে?

পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র নাকি পারিবারিক বিরোধ?

নতুন তথ্য অনুযায়ী, এটি পরিকল্পিত ঘটনা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কী? শুধুই ধর্ষণ, নাকি এর পেছনে আরও গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে? টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল কি? পারিবারিক দ্বন্দ্ব কি এর নেপথ্যে?

এছাড়া, আছিয়ার বোন বলেছেন, ধর্ষণের পর সকাল ছয়টার দিকে তিনি দেখেন দরজা খোলা, আর তার বোন মেঝেতে পড়ে আছে। তিনি তাকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে জাগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগেই তিনি বলেছেন, আছিয়া রাতে কেঁদেছিল। তাহলে তখন কেন কিছু বুঝতে পারলেন না? নাকি তিনি কিছু গোপন করছেন?

শ্বশুর ও শাশুড়ির ভূমিকা: প্রশ্নের মুখে পরিবার

বোনের ভাষ্যমতে, এই জঘন্য অপরাধে তার শ্বশুর জড়িত। কিন্তু তার শাশুড়ির ভূমিকা কী? তিনি যদি ওষুধ খাইয়ে থাকেন, তাহলে কি তিনি এই পরিকল্পনার অংশ? তাহলে তিনি এখনো কেন বাইরে? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া প্রয়োজন।

জামাল/