মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স জমা দিল চূড়ান্ত সুপারিশ
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আসছে এক নতুন যুগ। আজ (২৭ এপ্রিল) পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স, মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ যুগোপযোগীকরণের চূড়ান্ত সুপারিশ বিএসইসি (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন)-এর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে। এই সুপারিশ পুঁজিবাজারের কার্যক্রমকে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও সুশাসিত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আজকের এই বিশেষ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মো. আলী আকবর এবং কমিশনার ফারজানা লালারুখ। টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
পুঁজিবাজারের সংস্কার: পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনা
গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএসইসি একটি পাঁচ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে, যার লক্ষ্য ছিল পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করা। এরপর, টাস্কফোর্সের পরামর্শে এবং পুঁজিবাজারের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয় একটি ফোকাস গ্রুপ, যা পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য নানা পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করেছে।
বহুল প্রতীক্ষিত খসড়া সুপারিশ
১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স তাদের খসড়া সুপারিশ বিএসইসি’র কাছে জমা দেয়। তারপর, সবার মতামত আহ্বান করা হয় এবং সে মতামতগুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রস্তুত করা হয়। এই সুপারিশের মাধ্যমে, পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে।
পুঁজিবাজারে যুগান্তকারী পরিবর্তন
মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ যুগোপযোগী পরিবর্তন পুঁজিবাজারের কাঠামোকে আধুনিক করে তুলবে এবং এটি শেয়ারবাজারের প্রতিযোগিতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে। একদিকে যেখানে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল, সেখানে এই পরিবর্তন নতুন একটি আশার আলো দেখাবে।
এই সুপারিশের মাধ্যমে, পুঁজিবাজারে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যানের মার্কিন সফর, শেয়ারবাজারে বিতর্ক
বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের খবরে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার সংকটে: পাঁচটি প্রধান কারণ ও পরবর্তী পথ
এই পরিবর্তনগুলো শুধু শেয়ারবাজারের আইনের আধুনিকীকরণ নয়, বরং এটি বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ, সুশাসিত এবং স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে। যা দেশের অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ এখন অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং নিরাপদ। আশা করা যায়, এই নতুন সুপারিশের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজার আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে।
এক নজরে:
মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ যুগোপযোগীকরণ
বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ গঠন
শেয়ারবাজারের সুশাসন এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি
বিএসইসি এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ
রাজিব/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবারও এক লাফে কমলো সোনার দাম
- রেকর্ড নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো ওয়ালটন
- একলাফে কমলো ভরিতে ১৩,০৯৯ টাকা স্বর্ণের দাম, আজ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি কত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ডিএলএস পদ্ধতিতে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- ব্যাপক হারে কমলো সোনার দাম, স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা
- নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে দুই ব্রোকারেজ হাউসের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল করল ডিএসই
- ১৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ১৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- মুনাফায় রেকর্ড: লভ্যাংশ ঘোষণা করলো বাটা শু
- স্বর্ণের দাম আজকের বাজার ২০২৫
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আজ আবারো কমলো সোনার দাম, ভরিতে ১০,৪৭৪ টাকা কমালো বাজুস
- মুনাফার প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রেখে ড্রাগন সোয়েটারের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- নবম পে স্কেল: কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি!
- ইজেনারেশনের লভ্যাংশ ঘোষণা