ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এপ্রিল মাসে খাদ্য খাতের ১০ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ০৩ ১৭:১৮:১২
এপ্রিল মাসে খাদ্য খাতের ১০ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক পণ্য খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে এপ্রিল ২০২৫ মাসে ১০টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডিং হ্রাস পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট মাসে ৫টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব বেড়েছে এবং ৬টি কোম্পানিতে তা অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর মার্চ ও এপ্রিল মাসের শেয়ার ধারণের তুলনামূলক বিশ্লেষণে এই চিত্র উঠে এসেছে।

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডিং কমেছে যেসব কোম্পানিতে

এএমসিএল (প্রাণ):

মার্চে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ২৮.১৪ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০৩ শতাংশ কমে হয়েছে ২৮.১১ শতাংশ। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৩১.৭১ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১.৭৪ শতাংশ।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ:

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার মার্চে ছিল ২০.৮৩ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৬৫ শতাংশে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশ ১২.৫৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১২.৭৬ শতাংশ। বিদেশি শেয়ারহোল্ডিং ৩৪.২৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩৪.২১ শতাংশ।

বিডি থাই ফুড:

মার্চে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ৩৪.৯৬ শতাংশ, যা ১.৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে এপ্রিল মাসে হয়েছে ৩৩.২১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার একই পরিমাণে বেড়ে হয়েছে ৩১.১৮ শতাংশ।

বিচ হ্যাচারি:

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ১.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৪৮ শতাংশে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৪৫.৪৩ শতাংশ এবং বিদেশি শেয়ারহোল্ডিং ১.৫৬ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.১২ শতাংশে।

ফাইন ফুডস:

মার্চে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ২৭.০৪ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ৪.০৩ শতাংশ কমে ২৩.০১ শতাংশে দাঁড়ায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার একই হারে বেড়ে হয় ৬১.৭৪ শতাংশ।

এমারেল্ড অয়েল:

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ৪.৪৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪.০৭ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৪১.০৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১.৪০ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগ একই সময়ে ০.০৩ শতাংশে স্থির রয়েছে।

জেমিনি সি ফুডস:

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ০.৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৬২ শতাংশে, এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৬১.১৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

রংপুর ডেইরি ফুড:

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ১০.১১ থেকে ৯.৬৪ শতাংশে কমেছে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৫২.৮৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

শ্যামপুর সুগার:

মার্চে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছিল ৫.৮০ শতাংশ, যা ০.৯৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৮৪ শতাংশে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশ বেড়ে হয়েছে ৪৪.১৬ শতাংশ।

জিলবাংলা সুগার:

প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব ১.৩৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১১.৮৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার একই হারে বেড়ে হয়েছে ৩৭.১২ শতাংশ।

ডিএসইর সর্বশেষ হোল্ডিং তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিছু কোম্পানিতে অবস্থান কমিয়ে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কোম্পানির আর্থিক পারফরম্যান্স, বাজার প্রবণতা এবং স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ কৌশল প্রভাব ফেলতে পারে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

অন্যদিকে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ অনেক ক্ষেত্রে বেড়েছে, যা থেকে বোঝা যায়—ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এই খাতে সক্রিয় রয়েছে।

এই প্রবণতা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ কৌশলে পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মৌলভিত্তি ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখার দিকে নজর দিতে হবে।

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ