ঢাকা, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

টিউলিপের চিঠি ড. ইউনূসকে, বললেন ‘সব বলব আপনার সামনেই’

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ০৮ ১৫:১৭:৫৩
টিউলিপের চিঠি ড. ইউনূসকে, বললেন ‘সব বলব আপনার সামনেই’

দুদকের ‘রাজনৈতিক’ অভিযোগে ক্ষুব্ধ টিউলিপ সিদ্দিক, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডনে বৈঠকের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক এবার সরাসরি যোগাযোগ করলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। এক চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, "আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে পারব—সব বলব আপনার সামনেই।" এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।

চিঠিতে টিউলিপ উল্লেখ করেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সফরের সময় তিনি একটি বৈঠকের সুযোগ চান। উদ্দেশ্য একটাই—বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ তদন্ত নিয়ে তৈরি ভুল বোঝাবুঝির অবসান।

টিউলিপ লিখেছেন, “আমি লন্ডনে জন্ম নেওয়া একজন ব্রিটিশ নাগরিক। বাংলাদেশের প্রতি আবেগ থাকলেও আমি সেখানে থাকি না, কোনো ব্যবসায়িক স্বার্থও নেই। দুদকের এমন তদন্ত আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, “আমার মায়ের বোন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নে আপনার কাছে ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত আমি। যদি আমাদের সাক্ষাৎ হয়, আমি চাই সেগুলোর জবাব সরাসরি আপনার কাছেই দিই।”

দুদকের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে টিউলিপ দাবি করেন, তার আইনজীবীরা ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও জবাব পাননি। উল্টো তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে একটি ‘অচেনা ঠিকানায়’। তিনি লিখেছেন, “প্রতিটি ধাপ যেন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করার জন্যই নেওয়া হচ্ছে, অথচ আমার সঙ্গে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগই করেনি।”

টিউলিপ এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন, এসব কার্যক্রম তার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ও তার মা নাকি ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় ৭,২০০ বর্গফুটের প্লট অবৈধভাবে পেয়েছেন। এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে টিউলিপ দাবি করেছেন, “আমার বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে, তা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।”

চিঠির একদম শেষ লাইনে টিউলিপ লেখেন,

“আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সাক্ষাৎ হলে বাস্তবতা ও কল্পনার মাঝখানে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা ঘুচে যাবে।”

FAQs with Answers (প্রশ্নোত্তর):

Q1: টিউলিপ সিদ্দিক ড. ইউনূসকে কেন চিঠি দিয়েছেন?

A: বাংলাদেশের দুদকের ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগের বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে চান বলে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন।

Q2: টিউলিপের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ উঠেছে?

A: অভিযোগ রয়েছে, তিনি ও তার মা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকায় ৭২০০ বর্গফুটের একটি প্লট পেয়েছেন।

Q3: টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনৈতিক পরিচয় কী?

A: তিনি যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি।

Q4: তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কি?

A: হ্যাঁ, তিনি এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন।

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ