শেয়ারবাজারে ২৪ কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগ কমেছে ১০%–এর নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ২৪টি কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের ১০ শতাংশেরও কম রয়েছে খুচরা বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। এ তথ্য পাওয়া গেছে ডিএসই ও আমারস্টক সূত্রে।
এই কোম্পানিগুলোর মালিকানার বড় অংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশ কম থাকার ফলে এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন তুলনামূলকভাবে কম হয় এবং বাজারে তরলতা (liquidity) সীমিত থাকে।
তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডিং কাঠামো
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত:
ব্যাংক এশিয়া: সাধারণ বিনিয়োগকারী ৯.২৩%, উদ্যোক্তা ৫১.৪৩%, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৯.৩৪%
ব্র্যাক ব্যাংক: সাধারণ ৭.২১%, উদ্যোক্তা ৪৬.১৭%, বিদেশি ৩২.৫২%
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: সাধারণ ৬.২৫%, উদ্যোক্তা ৮৬.৯৯%
ইসলামী ব্যাংক: সাধারণ ৭.১১%, প্রাতিষ্ঠানিক ৭৪.৮২%, বিদেশি ১৭.৮৯%
আইসিবি: সাধারণ ২.১৭%, উদ্যোক্তা ৬৯.২০%, সরকার ২৭%
রূপালী ব্যাংক: সাধারণ ৬.৪২%, সরকার ৯০.১৯%
ভোক্তা পণ্য ও উৎপাদন খাত:
বাটা সু: সাধারণ ৯.৪৫%, উদ্যোক্তা ৭০%
বার্জার পেইন্টস: সাধারণ ০.৭৩%, উদ্যোক্তা ৯৫%
ম্যারিকো বাংলাদেশ: সাধারণ ২%, উদ্যোক্তা ৯০%
রেকিট বেনকিজার: সাধারণ ৬.১১%, উদ্যোক্তা ৮২.৯৬%
ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার: সাধারণ ৩.৫০%, উদ্যোক্তা ৯২.৮০%
রেনেটা: সাধারণ ৬.৯০%, উদ্যোক্তা ৫১.৬৯%, বিদেশি ২০.০৪%
টেলিকমিউনিকেশন:
গ্রামীণ ফোন: সাধারণ ২.৫৩%, উদ্যোক্তা ৯০%
রবি আজিয়েটা: সাধারণ ৭.৯৭%, উদ্যোক্তা ৯০%
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ:
ডেসকো: সাধারণ ৮.৬৭%, সরকার ৬৭.৬৬%
পাওয়ারগ্রিড: সাধারণ ৪.৯০%, উদ্যোক্তা ৫৮.৫০%
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন: সাধারণ ২.৫৭%, উদ্যোক্তা ৯০%
মেঘনা পেট্রোলিয়াম: সাধারণ ৭.৮৬%, সরকার ৫৮.৬৭%
যমুনা অয়েল: সাধারণ ৯.২৩%, সরকার ৬০.০৮%
এমজেএল বিডি: সাধারণ ৫.১৬%, উদ্যোক্তা ৭১.৫২%
ইস্পাত ও নির্মাণ খাত:
বিএসআরএম স্টিল: সাধারণ ৯.৯৬%, উদ্যোক্তা ৭২.০৬%
বস্ত্র খাত:
এনভয় টেক্সটাইল: সাধারণ ৮.৭৫%, উদ্যোক্তা ৬৫.১৮%
আইটি ও টেলিকম অবকাঠামো:
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস: সাধারণ ৫.৭৯%, সরকার ৭৬.৯৩%
বিনোদন ও অন্যান্য:
ইউনাইটেড পাওয়ার, রেকিট বেনকিজার, মারিকো এবং বার্জার পেইন্টস– এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার মালিকানা উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যা বাজারে অংশগ্রহণ ও মূল্য সংবেদনশীলতা কমাতে পারে।
বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে প্রাসঙ্গিকতা
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বল্প অংশীদারিত্ব বাজারে তরলতার ঘাটতির একটি ইঙ্গিত হতে পারে। এতে প্রভাব পড়ে শেয়ারের দৈনিক লেনদেন এবং দাম স্থিতিশীলতায়। পাশাপাশি, যেসব শেয়ারে মেজর অংশ নিয়ন্ত্রিত হাতে থাকে, সেখানে বড় বিনিয়োগকারীর যেকোনো পদক্ষেপ মূল্য ওঠানামায় তুলনামূলকভাবে বেশি প্রভাব ফেলে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগের আগে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডিং কাঠামো মূল্যায়ন করা উচিত। এতে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, তারলতা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়।
জামিরুল ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভারতের সাবেক স্পিনার দিলীপ দোশী মারা গেলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
- ভয়াবহ অন্ধকারে ঢাকার একাংশ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা দিল ডিএসই
- শান্তর পদত্যাগ, নতুন টেস্ট অধিনায়কত্বে এগিয়ে যিনি
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ম্যাচ প্রিভিউ, একাদশ ও ম্যাচ শুরুর সময়
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: বৃষ্টির কারণে বন্ধ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ
- বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে ৩ কোম্পানির শেয়ারে
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- PSG বনাম ইন্টার মায়ামি: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ ম্যাচ
- বাজারে সামগ্রিক মন্দার মাঝেও বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানির চমক
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: বাড়ল বিশেষ প্রণোদনা
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: খালেদা জিয়া যে তিন আসনে লড়তে পারেন
- ক্লাব বিশ্বকাপ: শেষ ষোলোতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষে মেসির ইন্টার মায়ামি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা