ঢাকা, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপন প্রশিক্ষণ কেলেঙ্কারি: মেজর সাদিকের পরিচয় ফাঁস

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ০১ ১৭:২২:০৩
গোপন প্রশিক্ষণ কেলেঙ্কারি: মেজর সাদিকের পরিচয় ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর সাদিকুল হক, যিনি মেজর সাদিক নামে পরিচিত, গোপনভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি বিতর্কিত কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য উঠে এসেছে।

মেজর সাদিকের পরিচয়

মেজর সাদিক মূলত কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত একজন সেনা কর্মকর্তা। সরকারি প্রটোকল অনুযায়ী তিনি সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন করতেন। তবে সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গেছে, তিনি নিজ কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থেকে রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচল এলাকায় গোপন প্রশিক্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করেছেন।

গোপন প্রশিক্ষণের বাস্তবতা

তদন্তে উঠে এসেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা ভারতে পালিয়ে যাওয়া দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্দেশ্যে গোপনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। ৮ জুলাই ভাটারার একটি কনভেনশন সেন্টারে প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের আগে থেকে গোপন টোকেন দিয়ে পাঠানো হয়েছিল।

গ্রেপ্তার ও তদন্তের অগ্রগতি

১৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মেজর সাদিককে সেনাবাহিনী আটক করে এবং তাকে হেফাজতে নেয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন রয়েছে।

সহযোগীদের তথ্য

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মেজর সাদিকের সহযোগী হিসেবে তার স্ত্রী সহকারী পুলিশ সুপার সুমাইয়া জাফরিন কাজ করেছেন। তারা অনুপস্থিত থেকে গোপনভাবে প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত অভিযোগ

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা কলকাতায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তত্ত্বাবধান করছিলেন। এছাড়া দিল্লিতে অবস্থানরত পলাতক পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই কেলেঙ্কারিতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

আইএসপিআরের বক্তব্য

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মেজর সাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ